এক যুগ পূর্ণ করলো প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল। আজ বুধবার (৬ মে) দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
‘শ্যামাপ্রেম’-এর নাট্যরূপ দিয়েছেন শ্রী চিত্তরঞ্জন ঘোষ, নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। এতে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, ইউসুফ পলাশ, নিজাম লিটন, শুভেচ্ছা, আশা, আবু হায়ত জসিম, রিগ্যান রত্ন, জসিম, সুজন, সুজয়সহ আরো অনেকে।
নাটকটির মূল উপজীব্য ভালোবাসা, স্বাধীনতা ও মানবতার চিরায়ত আকাক্সক্ষা। শ্যামা রাজ নর্তকী। গ্রামের সাধারণ এক কৃষক পরিবারের এই মেয়েটিকে কৈশোরে লুট করে অত্যাচারী জমিদারের লোকেরা। ভাগ্যচক্রে রাজ নর্তকী হয়ে উৎকোচ আর বশীকরণের বাঁকা পথে অভ্যস্ত ‘শ্যামা’র প্রায় মরে যাওয়া স্বপ্নগুলো আরেকবার বেঁচে উঠে বিদেশী বনিক প্রেমময় শৌর্যবান পুরুষ বজ্রসেনের সান্নিধ্যে।
অন্যদিকে ছেলেবেলার হল্লাহাটির সাথী অভিমানী বিপ্লবী উত্তীয় প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে শ্যামাকে। কিন্তু তার কাছে ধরা দেয়া হয়ে ওঠে না শ্যামার। অন্যদিকে বজ্রসেনের সঙ্গে স্বপ্নযুথের আকুলতায় শ্যামা প্রত্যাখান করে প্রতাপশালী অমাত্ত সায়নের আয়োজিত ভোজসভায় গীতনৃত্যের আহবান। অপমানজ্ঞানে বৈরী হয় সায়ন বজ্রসেনকে ‘গুপ্তচর’ সাব্যস্ত করে আটক করে এবং আয়োজন শুরু হয় তার শিরচ্ছেদের। যে উত্তীয় তার ভালোবাসার প্রতিদানে কোনোদিন শ্যামার কাছ থেকে কিছুই পায়নি, সে বজ্রসেনকে বাঁচাতে আত্মদানে প্রবৃত্ত হয়। শ্যামার কাছ থেকে এক অসাধারণ মুগ্ধতায় ভালোবাসার স্বীকৃতি পায় উত্তীয়। কুটচালে সিদ্ধহস্ত রাজকোটালের বন্দোবস্তে বজ্রসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয় আর ‘বজ্রসেন’ পরিচয়ে উত্তীয়কে শিরচ্ছেদে হত্যা করা হয়। বজ্রসেন ফিরে এসে সব জানতে পেরে ঘৃণায়, অপমানে আত্মঘাতী হতে বের হয়ে যায়। চিত্ত স্থির হলে আবার ফিরে আসে, শ্যামাকে সঙ্গে করে যাত্রা শুরু করে মৃত্যুঞ্জয়ী উত্তীয় এবং অন্ধকার থেকে মুক্তির খোঁজে। এই গল্পে তাই উত্তীয় অমর হয়ে থাকে স্বাধীনতা ও ভালোবাসার এক আলোকসামান্য প্রতীক হয়ে।
বাংলাদেশ সময় : ১০১১ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৫
জেএইচ