গাড়ি চাপা দিয়ে পথচারী হত্যার কারণে ৫ বছরের জেল হলো সালমান খানের। আজ বুধবার (৬ মে) দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মুম্বাইয়ের স্থানীয় একটি আদালতের দায়রা বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, আদালত থেকে সালমানকে সরাসরি আর্থার রোডের জেলে নিয়ে যাওয়ার কথা। আপাতত তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে তার মেডিকেল রেকর্ড। জানা গেছে, জামিনের জন্য উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলিউডের এই সুপারস্টার।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে সালমানের টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। এ ছাড়া আহত হন ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আরও চারজন। মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটান তিনি। এই মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী ২৭ জনকে জেরা করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত হত্যা) ও ১৩৪ (অপরাধমূলক কাজে সহযোগিতা) ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে তার। এ ছাড়া আদালতের রায়ে আহত ব্যক্তিদের জন্য কোনো জরিমানা দিতে বলা হয়নি।
অনিচ্ছাকৃত হত্যা মামলায় দোষী হওয়ায় সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারতো সালমানের। এদিকে জেল হওয়ায় সালমানের ওপর লগ্নি করা ২০০ কোটি রুপির বিনিয়োগ অনিশ্চতায় পড়ে গেলো। বলিউডের এই সুপারস্টারের হাতে এখন আছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি’, ‘দাবাং থ্রি’-সহ মোট সাতটি ছবি। এ ছাড়া ১০টি পণ্যের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও আছে তার।
অনিচ্ছাকৃত হত্যা মামলায় দোষী হওয়ায় সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারতো সালমানের। এদিকে জেল হওয়ায় সালমানের ওপর লগ্নি করা ২০০ কোটি রুপির বিনিয়োগ অনিশ্চতায় পড়ে গেলো। বলিউডের এই সুপারস্টারের হাতে এখন আছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি’, ‘দাবাং থ্রি’-সহ মোট সাতটি ছবি। এ ছাড়া ১০টি পণ্যের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও আছে তার।
একনজরে মামলাটির সময়কাল
২০০২
২৭ সেপ্টেম্বর : রাতে বান্দ্রায় সালমানের এসইউভির ধাক্কায় মৃত একজন। পরদিন সালমান গ্রেফতার। সেদিনই জামিন। পরে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৪ ধারার মামলা।
৭ অক্টোবর : বান্দ্রা থানায় সালমানের আত্মসমর্পণ। গ্রেফতার।
২৪ অক্টোবর : সালমানের জামিন।
২০০৩
মার্চ : ৩০৪ ধারাকে চ্যালেঞ্জ সালমানের। হাইকোর্টের সায়।
ডিসেম্বর : সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৩০৪ ধারা থাকবে কি-না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারক।
২০০৬
৩ অক্টোবর: যিনি প্রথম এফআইআর করেছিলেন, সেই পুলিশ কনস্টেবল ররীন্দ্র পাটিলের মৃত্যু।
২০১৩
২৩ ডিসেম্বর : ৩০৪ ধারা প্রয়োগ অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের।
২০১৪
২৭ এপ্রিল : দায়রা আতালতে নতুন করে বিচার শুরু।
২০১৫
২৫ মার্চ : সাক্ষগ্রহণ শেষ।
২৭ মার্চ : বয়ান সালমানের।
২০ এপ্রিল : শুনানি শেষ।
** হত্যা মামলায় সালমান খান দোষী সাব্যস্ত
** মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় বিপাকে সালমানের ড্রাইভার
** আদালতে হাজির সালমান
** আদালতের উদ্দেশ্যে বেরোলেন সালমান
** সালমানের বাড়িতে শাহরুখ
বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৫
জেএইচ