বগুড়ার ছেলে সাজু আহমেদ। শৈশব থেকেই নাটকের মহড়া দেখে বড় হয়েছেন।
প্রথম দিকে বগুড়ার সোনাতলা থিয়েটারের হয়ে একাধিক নাটকে নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি অভিনয় করেন। তারপর ক্রমান্বয়ে জাতীয় পর্যায়। তার নির্দেশিত এবং অভিনীত নাটকগুলো হলো- মান্নান হীরার ‘ফেরারি নিশান’, শুভংকর চট্টেপাধ্যায়ের ‘মড়া’, অন্য এক লেখকের ‘হয়তো নয়তো’, সফদার হাসমির ‘হল্লাবোল’, তৌফিক হাসান ময়নার ‘পাথর’, ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ এবং মঞ্চনাটক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সুবচন নির্বাসনে’ নাটক।
স্বপ্নের পথে নিজের পথচলার গল্প তুলে ধরে সাজু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স পড়ার সময় কলেজ থিয়েটারের হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সেনাপতি’ নাটকে অভিনয় করেছি। নাটকের নির্দেশনা দিয়েছিলেন বগুড়ার প্রখ্যাত নাট্যজন তৌফিক হাসান ময়না। তিনি আমার প্রধান নাট্যগুরুদের একজন। তার কাছে মূলত আমার গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের নাট্য চর্চা এবং গ্রাম থিয়েটার চর্চার সুযোগ হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে ঢাকায় আসা’।
ঢাকায় এসে সাজু প্রথমে যোগ দেন মোহাম্মদপুরের কুশীলব থিয়েটারে। এ দলের হয়ে কাজী রফিক রচিত ‘ফতোয়া’ পথনাটকে কাজ করেন। দলটি নিয়মিত কাজ না করায় এর পর যোগ দেন ‘প্রাঙ্গণে মোর’ থিয়েটারে। এ দলের শুরু থেকে কর্মশালা সমাপনী পর্যন্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষের দিকে সাংবাদিকতা শুরু করার কারণে থিয়েটার চালিয়ে যেতে পারেননি।
এরপর ২০০২ সালে শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘টপ লিডার’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। টিভি নাটকের মধ্যে মনির হোসেন জীবন পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘নীলছায়া’, ‘গুণীন’ এবং জহুরুল ইসলাম পরিচালিত ‘সীমাবদ্ধ মানুষেরা’ নামে ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। সম্প্রতি তার অভিনীত জি এম সৈকত পরিচালিত খণ্ড নাটক ‘আগুনের আর্তনাদ’ নাটকটি এটিএন বাংলায় প্রচার হয়েছে এবং প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে মিনহাজ ইসলাম অভি পরিচালিত ৬পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘শেষ অধ্যায়’।
অভিনয় জীবন নিয়ে সাজু বলেন, ‘টিভি নাটক বা চলচ্চিত্রে আমি নিয়মিত অভিনয় করতে চাই। অবশ্য এক্ষেত্রে নেতিবাচক চরিত্রই আমার বেশি পছন্দ। কারণ মঞ্চে বা টিভি অথবা সিনেমার পর্দায় আমি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে মঞ্চই আমার প্রাণ’।
অভিনয়ের বাইরে সাজু একটি আবৃত্তির অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন। বর্তমানে কবিতা নির্বাচনের কাজ চলছে।
সাজু বলেন, ‘নিজের মত করে বাঁচতে গিয়ে কত যে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। কতজনের কাছে কষ্ট পেয়েছি। সব ভোলার চেষ্টা করেছি মঞ্চে অভিনয়ের পর দর্শকদের দেওয়া হাততালির আনন্দের মধ্যে। সেই জন্যই এ লাইনে আসা। সবার দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে আমার সাংস্কৃতিক জীবনে সফলতার জন্য আশীর্বাদ ও সহযোগিতা চাই’।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৫মে, ২০১৫
এমকে/