কান (ফ্রান্স) থেকে: উৎসবের সপ্তম দিনটা লাকি সেভেনই ছিলো বলা চলে নীরাজ গাইয়ানের জন্য। ওইদিন তার পরিচালিত প্রথম ছবি 'মাসান'-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় আনসার্টেন রিগার্ডে।
গত ২৩ মে বিকেল পাঁচটা বাজার কয়েক মিনিট আগে প্যালেস দ্যু ফেস্টিভ্যাল ভবনের সালো দে অ্যাম্বাসেদরে নীরাজ এসে হাজির। মাথার প্রায় সব চুলই পেকে গেছে। তবে বয়সে এখনও তরুণ। তাকে দেখে মোটামুটি নিশ্চিত হলাম তার হাতে পুরস্কার উঠবে। হলোও তা-ই। কানের ৬৮তম আসরে চলচ্চিত্র সমালোচকদের বিচারে আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগে ফিপরেস্কি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
নীরাজের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হলো। প্রতিবেশী দেশের সাংবাদিক শুনে খুশি হলেন। বললেন, 'আমি মনে করি, ভারত বহু বছর ধরে এমন একটি অর্জনের অপেক্ষায় ছিলো। আমরা সেটা পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে আমার সতীর্থ আর আগামী প্রজন্মের জন্য নতুন দুয়ার খুলে গেলো। ' এরপর হাত মেলালেন। তারপর শ্যাম্পেনে পুরস্কার জয় উদযাপনে মাতলেন সঙ্গীদের নিয়ে।
সন্ধ্যা সাতটায় সাল দিবুসি প্রেক্ষাগৃহে আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ঢুকে বসলাম। হঠাৎ নীরাজ এসে হাজির। বসলেন ঠিক পাশের সারির শুরুতে। আবার শুভেচ্ছা বিনিময় হলো। তাকে আরেকটি পুরস্কারের জন্য আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম। তিনি হাসলেন। ভবিষ্যদ্বাণী যে মিথ্যে নয়, আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের তার প্রমিজিং ফিউচার প্রাইজ পুরস্কারজয়ই তা বলে দিলো।
পুরস্কার গ্রহণের পর নিজের সব কলাকুশলী, প্রযোজক, নিজের গুরু অনুরাগ কাশ্যাপ-সহ কাউকেই ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি নীরাজ। তার নাম পড়ার সময় মিলনায়তনজুড়ে হাততালিও পড়লো, হাসির শব্দও শোনা গেলো।
নীরাজের এই অর্জন ভারতের জন্য বিরাট ঘটনা। তিনি কাজ করেছেন অনুরাগ কাশ্যাপের সহকারী হিসেবে। গুরু যা পারেননি, শিষ্য তা-ই করে দেখালেন। তবে গুরু শিখিয়েছেন বলেই তো পেরেছেন! তাই টুইটারে অনুরাগের নাম উল্লেখ করে নীরাজ টুইট করেছেন, 'অনুরাগ দেখো তোমার শিক্ষা আমাকে কি পাইয়ে দিয়েছে!'
ফ্রান্স সময় : ০৯০৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
জেএইচ
** বাংলানিউজে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সব খবর