বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের শক্তিমান অভিনেতা শেখ আবুল কাশেম মিঠুন (৭০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টায় মারা যান।
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি আজ। ২৫ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তার মরাদেহ নিয়ে আসা হবে। লাশ আনার পর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দরগাপুরে জানাজার পর দাফন করা হবে। ’
মিঠুনের মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, মা ও ভাইসহ অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী ভেঙ্গে পড়েছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দরগাপুর।
অমিত হাসান আরো বলেন, মিঠুন অনেক শক্তিমান অভিনেতা ছিলেন । এক সময় তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। এত শান্তি প্রিয় মানুষ তিনি, যে কেউ শ্রদ্ধা করতে বাধ্য। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
মিঠুন ১৯৮০-এর দশকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ববিতাসহ সে সময়ের বেশ কয়েকজন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তবে প্রধান নায়কের চরিত্রে অল্প কিছু চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্য নিয়েও কাজ করেছেন। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ভেজা চোখ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ও ‘বাবা কেন চাকর’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
এমকে/