কান (ফ্রান্স) থেকে: ভূমধ্যসাগরের ঘন নীল উপকূলে ঢেউ আছে আজও। তবু নিস্তেজ প্যালেস দ্যু ফেস্টিভ্যালের চারপাশ।
আশেপাশে সাংবাদিক কিংবা আলোকচিত্রী কেউই নেই। প্রেস রুমের মতো সংবাদ সম্মেলন কক্ষও ফাঁকা। আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দ প্রেস বক্স এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তথ্য সেবাকেন্দ্রেও কেউ নেই। টিকেটসন্ধানীদের ছায়াও নেই কোথাও। সমুদ্রতীরবর্তী শহরে যাবতীয় কোলাহল যেন রাতারাতি মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়! তাই গত ১২ দিনের চেনা হৈচৈ আর সোরগোলের পরিবর্তে এখন মলিন লাগছে সবকিছু্ই।
হরিষে বিষাদ কথাটা যেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য যুতসই। সারাবছর স্বর্ণপামের জন্য অপেক্ষা থাকে সবার। একডজন দিন ধরে প্রতীক্ষার পর সেই পুরস্কার দেওয়ার সঙ্গে বাজতে শুরু করে বিদায়ের সুর। এবার ১৩ মে শুরু হয়ে ৬৮তম আসরের পর্দা নেমেছে ২৪ মে। কান থেকে প্যারিস যাওয়ার ট্রেন ধরতে হবে। এই ফাঁকে এদিন উৎসবের ভেন্যুতে একচক্কর দিলাম। কিন্তু এলাকাটি ছিলো ম্রিয়মাণ।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম দিক পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিচিত্র বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের উপস্থিতি। হলিউডি ঘরানার বাইরে ব্যতিক্রমী সব চলচ্চিত্রে সাজানো উৎসবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন এটাই। বৈচিত্র আর বহুমাত্রিকতার জন্য প্রসিদ্ধ কান উৎসবকে বলা হয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম বৃহৎ মিলনমেলা। এতে অংশ নেওয়ার জন্য এবারও ঢল নেমেছিলো বাঘা বাঘা তারকাদের।
শুধু তারকা নন, বিশ্বের প্রথম সারির সব সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে সারাবিশ্বের চার হাজার সাংবাদিকেরা জড়ো হন কানের খবর সংগ্রহ করতে। তাদের প্রায় সবাই আবার নিজ নিজ দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। আমারও যাবার সময় হলো। সকাল থেকেই আজ দমকা হওয়া বইছে। এ কারণে মানুষ আরও কম। আশপাশের পরিবেশ দেখে বোঝা যাচ্ছে বছরখানেকের জন্য এই শহরটা বেশিরভাগ সময়ই থাকবে ঘুমিয়ে!
(বাংলানিউজে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সব খবর প্রকাশিত হচ্ছে www.rabbitholebd.com এর সৌজন্যে।
ফ্রান্স সময় : ১৮২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
জেএইচ/
** অবশেষে অদিয়ারের প্রথম জয়
** বাংলানিউজে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সব খবর