১০ বছর পর দেশে ফিরলেন ডরথী বোস। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনপ্রবাসী এই শিল্পী গানের টানেই এসেছেন।
আজ শনিবার (৩০ মে) বিটিভির ‘প্রাণে মনে অন্তরে’ অনুষ্ঠানে গেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গীতি-নাট্য, নৃত্য-নাট্যের গান নিয়ে সাজানো অনুষ্ঠানটি আগামী ৫ জুন প্রচার হবে। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে বিটিভিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে বেঙ্গল মিউজিক কোম্পানি লিমিটেডের স্টুডিওতে রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি গানের রেকর্ডিং করেছেন ডরথী। এগুলো হলো- ‘দূরে কোথায় দূরে দূরে’, ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’, ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেলো কে’ প্রভৃতি। এগুলোর সংগীতায়োজন হবে পরে।
বাবার দীপক বোস কাছে ডরথীর গান শেখা। মা স্নিগ্ধা বোসও সংগীতানুরাগী ছিলেন। সংগীত ভবনে আট বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন তিনি। তালিম নিয়েছেন কলিম শরাফীর কাছেও । ১৯৯৮ সালে সংগীত ভবন থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। এরপর কলকাতা আর পাটনায় কবিগুরুর গান গাইতে গিয়েছিলেন। একসময় উচ্চশিক্ষার্থে ওয়াশিংটনে গিয়ে সেখানেই থেকে যান।
তবে সংগীতচর্চা থামেনি। প্রবাসী বাঙালিদের গড়া ধ্রপদ এবং বাংলা কুল সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন ডরথী। গেয়েছেন মঞ্চনাটকের গান। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বিজয় দিবসে সংগীত পরিবেশন করেন। ১৮ মে আনিস আহমেদের সঞ্চালনায় ‘রবির আলোয় পূজা ও প্রেম’ শীর্ষক রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে গেয়েছেন।
ডরথীর জন্ম ঢাকায়। ইব্রাহিমপুরে ১০ কাঠা জমির ওপর তাদের দোতলা বাড়ির বয়স প্রায় ৪৫ বছর। তিনি বাংলানিউজকে বললেন, ‘বাবা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন ৭০ সালে। এ বাড়িতেই আমাদের চার ভাইবোনের জন্ম আর বেড়ে ওঠা। এখন আমরা সবাই দেশের বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছি নিজেদের জীবন নিয়ে। বাড়িতে বাবা-মা একা সবকিছু আগলে বসে আছেন। এবারে ১০ বছর পরে আমি বাড়ি এলাম। ’
এক দশক পর দেশে ফেরা প্রসঙ্গে ডরথী বলেছেন, ‘আমার দুই সন্তান অদিতি (১০) আর অমিত (৫) এখনও খুব একটা বড় হয়নি। তবে এবার দেশের টানে ওদেরকে রেখেই চলে এলাম মনের সাথে যুদ্ধ করে। ওদের বাবাও (ডেভিড রানা) ব্যস্ততা থাকায় আসতে পারেনি। যেহেতু হাতে সময় কম তাই কয়েকটি গানের রেকর্ডিং করেছি। ইচ্ছে আছে পরে এগুলো নিয়ে একটা অ্যালবাম করবো নিজের দেশ থেকে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
জেএইচ