ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন আদেশ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫
ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন আদেশ আদেশ শ্রীবাস্তব (জন্ম : ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪, মৃত্যু : ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫)

বলিউডের গায়ক-সংগীত পরিচালক আদেশ শ্রীবাস্তব আর নেই। ক্যান্সার নিভিয়ে দিলো তার জীবনপ্রদীপ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে (৫ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ে আন্ধেরির কোকিলাবেন ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ড. রাম নারায়ণ এ খবর জানান। এখানে ৪০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জনপ্রিয় এই শিল্পীর বয়স হয়েছিলো ৫১ বছর।

আদেশ রেখে গেছেন স্ত্রী প্রাক্তন অভিনেত্রী বিজেতা পন্ডিত ও দুই পুত্রসন্তান অনিবেশ ও অভিতেশ। বিজেতা হলেন সুরকারদ্বয় যতিন-ললিতের বোন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ললিত পন্ডিত বলেন, ‘তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। তাই কেমোথেরাপি বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। তারা বিকল্প উপায়ে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছেন না। আদেশও সাহসের সঙ্গে এই দুঃসময় মোকাবেলা করছেন। ’

আদেশের মৃত্যুর খবরে বলিউডে নেমেছে শোকের ছায়া। অমিতাভ বচ্চন প্রতিদিনই ফোন করে তার খোঁজখবর নিয়েছেন। শাহরুখ খান সশরীরে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। টিনা আম্বানি (একসময়ের অভিনেত্রী টিনা মুনিম) দু’বার এসে তার বিশেষ যত্নের ব্যাপারে কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। ললিত পন্ডিত জানান, ভারতীয় কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে শান, সনু নিগাম, কুমার শানু, অলকা ইয়াগনিক ও উদিত নারায়ণ নিয়মিত এসে দেখা করেছেন। এ ছাড়া নির্মাতা শেখর কাপুর, গোবিন্দ নিহালানি, অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, পুনম ধিলনও এসেছিলেন তাকে দেখতে। তার মৃত্যুর প্রায় এক ঘণ্টা পর টুইটারে নির্মাতা অনুভব সিনহা লিখেছেন, ‘দুঃখজনক খবর। অকালে চলে গেলেন আদেশ শ্রীবাস্তব। ’

পাঁচ বছর আগে আদেশের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে রোগটি তাকে ভুগিয়ে এসেছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৯৬৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে জন্মেছিলেন আদেশ। ১৯৯৩ সালে ‘কন্যাদান’ ছবির গান তৈরির সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে আদেশের সংগীত জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ওই ছবিতে তার প্রথম গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। আর গানগুলোও আলোর মুখ দেখেনি। ক্যারিয়ারে শতাধিক হিন্দি ছবির গান সুর করেছিলেন তিনি। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য ‘চলতে চলতে’ (শাহরুখ খান, রানী মুখার্জি), ‘বাবুল’ (অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, রানী মুখার্জি, জন অ্যাব্রাহাম), ‘বাগবান’ (অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী), ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ (অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, কাজল, হৃতিক রোশন, কারিনা কাপুর) এবং ‘রাজনীতি’ (রণবীর কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফ)।

আদেশের সুর করা জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে লতা ও উদিত নারায়ণের গাওয়া ‘পেহলি নজর মে তুনে ইয়ে কেয়া কিয়া’ (অঙ্গারে), ‘কেয়া আদা কেয়া জালওয়ে তেরে পারো’ (শাস্ত্র), ‘হাতও মে আ গ্যায়া জো কাল’ (আও পেয়ার কারে), ‘সোনা সোনা’, ‘শাবা শাবা’, ‘গুসতাকিয়া’, ‘গুড় নালো ইশক মিঠা’, ‘মোরা পিয়া’ প্রভৃতি। ২০০৫ থেকে পরের চার বছর ‘সারেগামাপা চ্যালেঞ্জ’ সংগীত প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন তিনি। গানের বাইরে ‘সানা’ নামে শিশু যৌনকর্মীদের ওপর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করেন আদেশ।

বাংলাদেশ সময় : ১১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।