অং রাখাইন আদিবাসী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি।
আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প নিয়ে ত্রিপুরা ভাষায় তৈরি হবে ছবিটি। আগামী বছর জানুয়ারিতে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে। রাঙামাটির প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় দৃশ্যধারণ হবে জুলাই থেকে। ছবিটির মূল ভাষা ত্রিপুরা হলেও পাশাপাশি চাকমা, মারমা আর চাটগা ভাষাও থাকবে। ছবিটিতে অভিনয় করবেন আদিবাসীরা।
ছবির নাম ‘ভয়েস অব ত্রিপুরা’ কেনো? উত্তর দিলেন অং- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের মধ্যে ত্রিপুরাদের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি। এরপর বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে ত্রিপুরাদের ভূমিকা উপেক্ষিত। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের অবদান অনেক। মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীরাও যে অংশগ্রহণ করেছিলো, দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলো, সেটাই তুলে ধরতে চাই সেলুলয়েডের ফিতায়। দীর্ঘ দুই বছর গল্পটি নিয়ে কাজ করছি। অর্থায়নের জন্য দেশ-বিদেশে আবেদন করবো। না পেলে প্রয়োজনে আবার বন্ধুবান্ধবদের কাছে হাত পাততে হবে! তবুও ছবিটা বানাবো। ১৯৭১ সালে দুই-একজন আদিবাসী ছিলো যারা পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু অসংখ্য আদিবাসী জীবনবাজি রেখে লড়েছেন। অনেকে মারাও গেছেন। আমি মূলত বস্তুনিষ্ঠ বিষয় তুলে ধরতে চাই। ’
অং রাখাইনের প্রথম ছবি ‘মাই সাইকেল’ এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। যদিও ছবিটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। আটকে আছে সেন্সর বোর্ডে। মুক্তির আগেই বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শন করার অপরাধে এবং ভাষাগত সমস্যা দেখিয়ে এখনও সেন্সর বোর্ড আটকে রেখেছে ছবিটি।
বাংলাদেশসময় : ১২০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
জেএইচ