বহুল আলোচিত রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হলো। হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান যাকে মন দিয়েছেন, শেষমেষ তার পরিচয় প্রকাশ্যে এলো।
নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে বরাবরই নীরবতা পালন করে আসছেন অর্জুন ও সুজান। এই প্রেমের কথা জনসম্মুখে ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবসময় সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে গেছেন তারা। এতো সাবধানতার পরও ঠিকই ধরা পড়ে গেলো তাদের প্রেম কাহিনী!
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের জুহুর একটি কফি শপে অর্জুনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটিয়েছেন হৃতিকের দুই সন্তানের জননী সুজান। তারা সেখানে ঢোকার সময় তেমন একটা জনসমাগম ছিলো না। হাতেগোনা কয়েকজনকে কফি সামনে নিয়ে আড্ডায় মশগুল থাকতে দেখা গেছে।
পরিস্থিতি অনুকূলে দেখে এক কোণে গিয়ে নিবিড় আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন অর্জুন ও সুজান। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর আর এক মুহূর্ত অবস্থান না করে দ্রুত বেরিয়ে পড়েন তারা। অনেকে মোবাইল দিয়ে তাদের ছবি ওঠানোর চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী নাইনএক্সইকে জানান, লোক সমাগম দেখে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলেন না তারা। তাই সুজানের গাড়িতে চড়ে স্থান ত্যাগ করেন অর্জুন। আর তার সাভ গাড়িটি চলছিলো ওটার পেছনে।
মেহর জেসিয়া, অর্জুন রামপাল, সুজান খান
হৃতিকের সঙ্গে সুজানের ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছিলো অর্জুনকেই। কিন্তু তার মতো সুজানও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ গুজবকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। সঙ্গে নিন্দাও জানান। নিজেদেরকে স্রেফ ভালো বন্ধু হিসেবেই উল্লেখ করেন তারা।
অর্জুনের সঙ্গে তার স্ত্রী মেহর জেসিয়ার দাম্পত্য জীবন উথাল-পাতাল হওয়ার খবর জানাজানি হতেই অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলান। সুজানের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনেই আইন মেনে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেহর। কিন্তু এটাকেও ভুয়া খবর দাবি করে নিন্দা জানান অর্জুন।
সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে, হৃতিকের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সঙ্গে ফের ছাদনাতলায় যাচ্ছেন সুজান। কিন্তু তার মা জেরিন খান এক সাক্ষাৎকারে খবরটি কঠোরভাবে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এমন কোনো কিছুই হচ্ছে না। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের ব্যবসা ও দুই সন্তানকে সামলে তার মেয়ের দিন কাটছে।
কিন্তু নিন্দুকদের মন্তব্য, আগুন ছাড়া কি আর সিগারেট জ্বলে! নিশ্চয়ই অর্জুন ও সুজানের মধ্যে কিছু একটা হচ্ছে। তাদের ধারণা, দু’জনে সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। কারণ সুজান মু্ক্ত বিহঙ্গ হলেও মেহরের সঙ্গে অর্জুনের এখনও আইনত বিচ্ছেদ হয়নি। তারা বান্দ্রা পারিবারিক আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করে রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময় : ২২৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
জেএইচ