গত বছরের ঘটনা। দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা গ্রাস করে ফেলছিলো দীপিকা পাড়ুকোনকে।
গত ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে এর উদ্বোধন হয়। ফাউন্ডেশনটির মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের কৃষকদেরও সহায়তা করবেন দীপিকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নাবিস কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত থাকার মিশনে যোগ দেওয়ার জন্য দীপিকাকে অনুরোধ করেছেন। কারণ গত কয়েক বছরে কৃষিনির্ভর সংকটের কারণে সেখানকার অনেক কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুটি ভিন্ন অঞ্চলে জরিপ চালিয়েছেন তিনি। দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ কৃষক কঠিন চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দীপিকাও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর বলেই জানালেন। তিনি এটাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছেন। কৃষকদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রে হতাশা ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কতোটা কাজ করে তা নিয়ে জরুরিভাবে বিশদ গবেষণা শুরুর জন্য বলে দিয়েছেন নিজের দলবলকে। গবেষণা শেষ পরবর্তী পদক্ষেপ হাতে নেবেন তিনি। কৃষকদের আত্মহত্যার অন্তরালের সমস্যাগুলো ভালোভাবে বুঝতে বৈজ্ঞানিক আঙ্গিকে পরিচালিত পাঠকর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন দীপিকা।
কৃষকদের পাশাপাশি নিজের ফাউন্ডেশন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে থাকা সব মানুষকে হতাশা থেকে বের করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে তার। কারণ অনেকেই জানে না, কীভাবে চাপ সামলে এগিয়ে যেতে হয়, হাসতে হয়, ভালোবাসতে হয়! দীপিকা বলেছেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, সবাইকে জানতে হবে কোথাও না কোথাও আশা থাকে। গ্ল্যামার কিংবা রূপালি পর্দার মধ্যেই শুধু হতাশা আটকে থাকে না, অর্থনীতি জড়িত থাকে এমন সব পেশার মানুষের মধ্যে এটা ঘটতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। আমি এমনিতেই সংবেদনশীল মানুষ, হতাশার সঙ্গে লড়াই করে আগের চেয়ে আরও অনেক সংবেদনশীল হয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
বিএসকে/জেএইচ