টিভি চ্যানেলের অভাব নেই দেশে! কতোই না নাম- বিটিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, এনটিভি, আরটিভি, বৈশাখী টিভি, বাংলাভিশন, দেশ টিভি, মাছরাঙা টেলিভিশন, চ্যানেল নাইন, জিটিভি, এশিয়ান টিভি, এসএ টিভি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, সময় টিভি, যমুনা টিভি, মোহনা টিভি, মাই টিভি, এটিএন নিউজ, বিজয় টিভি, গানবাংলা, চ্যানেল সিক্সটিন। কিন্তু এগুলোতে ক’জনই চোখ রাখে?
দেশের গণমাধ্যম ও দর্শকের ওপর গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান এমআরবি’র দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রিমোটে চেপে দেশীয় টিভি চ্যানেলে দর্শকরা থাকছেন খুব কম।
এর নেপথ্য কারণ খুঁজে পদক্ষেপ না নেওয়ার পরিণতি ধীরে ধীরে নাজুক যে হবে, তা আঁচ করা যাচ্ছে এখনই। দর্শক কমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার। কয়েকটি টিভি চ্যানেলের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিজ্ঞাপনের মূল্য কম হওয়ায় তাদেরকে বেশি চালাতে হচ্ছে টিকে থাকার জন্য।
আশঙ্কার কথা হলো, কম মূল্যে বিজ্ঞাপন পাওয়ার এই সংকট আরও বাড়তে যাচ্ছে। কারণ ভারতীয় চ্যানেলে দর্শকদের আগ্রহ বেশি থাকায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানেও বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছে। কলকাতাই শুধু নয়, হিন্দি চ্যানেলেও এটা এখন চোখে পড়ার মতো।
শুধু তা-ই নয়, কলকাতার স্টার জলসা চ্যানেলটি বাংলাদেশ থেকে কিছু অনুষ্ঠান কিনে নিয়ে প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করছে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন এজেন্সি। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য ফাঁস করেছে।
এদিকে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) তথ্যানুযায়ী, দেশে এই মুহূর্তে ২৪টি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। লাইসেন্স পাওয়া আরও ১৩টি টেলিভিশন শিগগিরই যোগ হচ্ছে এ তালিকায়। পুরনোগুলোর মতো তাদেরও আয়ের একমাত্র উৎস হবে বিজ্ঞাপন। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি ভারতীয় চ্যানেলের দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তারা বাজেট আরও কমিয়ে ওপারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই প্রবণতায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে টেলিভিশন মালিক সমিতি অ্যাটকো। তাদের ভাষ্য, এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশীয় চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন বাজার আরও ছোট হয়ে পড়বে, তখন অস্তিত্ব সংকটও দেখা দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
জেএইচ