ক্যান্সার আক্রান্ত গুণী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখান্দ দেশে ফিরেছেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসেন।
এদিকে শুরু থেকেই লাকীর অসুস্থতার খবর মিডিয়ায় চাউর হোক এটা চায়নি তার পরিবার। যে কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও কেউ খবর পায়নি। একইভাবে এবার ব্যাংকক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দেশে আসার পরও তিনি নিভৃতে কাটিয়ে দিলেন এক সপ্তাহ!
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানা যায়, লাকী আখান্দের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে তার কেমোথেরাপি শুরু হবে । দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য ১৮ অক্টোবর তাকে আবার ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হবে। চিকিৎসকের সূত্র দিয়ে বলা হয়, আগামী ছয় মাসে ছয়টা কেমোথেরাপি নিতে হবে লাকীকে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর লাকীর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজ। এবার এই শিল্পীর চিকিৎসার জন্য একলক্ষ টাকার চেক প্রদান করেছে মিউজিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ ওর্নাস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি)। সম্প্রতি এমআইবির পক্ষে চেক প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি একেএম আরিফুর রহমান। লাকীর পক্ষে চেক গ্রহণ করেন তার ভাতিজা হাসান শাহরিয়ার দীপ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর ভর্তি করা হয়েছিল লাকীকে। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ১০ সেপ্টেম্বর রাতের ফ্লাইটে তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
লাকী আখান্দ অসংখ্য কালজয়ী গানের সুর তৈরি করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল— ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মা মনিয়া, ‘লিখতে পারিনা কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেওনা, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার, ‘ কি করে বললে তুমি, ‘এত দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসও