ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘আগের মতো দর্শকরা মঞ্চনাটক দেখে না’

তৃণা শর্মা, প্রদায়ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
‘আগের মতো দর্শকরা মঞ্চনাটক দেখে না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘এখন আগের মতো দর্শকরা মঞ্চনাটক দেখে না। মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে।

কিন্তু অভিনয়শিল্পীরা দর্শকের মনোভাব, তাদের ভালোলাগা কিংবা মন্দ লাগা সবকিছু বুঝতে পারে দর্শকের কাছে এসে, আর মঞ্চই হলো সেই জায়গা’- বলছিলেন শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস  অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। নাট্যচক্রের ‘ভদ্দরনোক’ নাটকের ৩০০তম প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সেন্টারের সভাপতি নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন ‘আগে মানুষ মঞ্চনাটক দেখতো। আমাদের অনুপ্রাণিত করতো, কিন্তু এখন মানুষ আর মঞ্চনাটক দেখতে আসে না। মানুষ এখন আর তেমন একটা মিলনায়তনমুখী হন না। অথচ দর্শকের সঙ্গে অভিনয়শিল্পীদের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো মঞ্চ। ’

নাসিরউদ্দীন ইউসুফ নাট্যচক্রের প্রসঙ্গ ধরে বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক নাট্যকর্মীরা উঠে এসেছি এই দল থেকে। আমাদের প্রথম দল ছিলো নাট্যচক্র। এই নাট্যচক্রের মূলে ছিলাম আমি, ম. হামিদ আর সেলিম আল দীন। পরবর্তী সময়ে আস্তে আস্তে অনেক সংগঠন গড়ে ওঠে। ’

১৯৮৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চ থেকে শুরু, ২০১৬ সালে নাট্যচক্রের ‘ভদ্দরনোক’ নাটকের ৩০০তম প্রদর্শনী হলো। এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আখতারী মমতাজ। এ ছাড়াও অংশ নেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম ও মাহমুদ সাজ্জাদ।

নাটকটি মঞ্চায়নের আগে নাট্যচক্রের সভাপতি ম. হামিদ বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে এতোদূর পর্যন্ত আশা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার। এই নাটকে ২০-২২টি চরিত্রে এ পর্যন্ত শতাধিক অভিনয়শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেককে আমরা হারিয়েছিও। আজকের দিনে তাদের কথা না বললেই নয়। ’  

ফরাসি নাট্যকার মলিয়েরের ‘দ্য বুজোর্য়া জেন্টেলম্যান’ অবলম্বনে ‘ভদ্দরনোক’ রূপান্তর করেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার। তিনি সব অতিথিসহ দর্শকদের ধন্যবাদ জানান ও মঞ্চনাটককে আবার প্রাণবন্ত করার আহ্বান জানান।

‘ভদ্দরনোক’ হাস্যরসে ভরপুর জনপ্রিয় একটি নাটক। এতে দেখানো হয়েছে, সমাজে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা বিত্তবানেরা আকস্মিক অর্থপ্রাপ্তিতে বেসামাল হয়ে নিজেদের কুলীন প্রমাণের জন্য নগরজীবনের ফাঁপা সংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে কীভাবে গা ভাসিয়ে দেয়। নাটকটির পরিবেশ শহরকেন্দ্রিক। নাটকের কিছু সংলাপে কাল্পনিক কুয়েতি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। নাটকটির মূল বক্তব্য হলো- জীবনের সবুজ ও সুন্দর দিক তুলে ধরা ও জীবনের গতিশীল এবং বুদ্ধিকে শাণিত করা।

এ নাটকের ২১ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ম. হামিদ, তনিমা হামিদ, মাহমুদা শিউলি, মানজুরুল আলম, মাহমুদ সাজ্জাদ, গোলাম মোর্শেদ, সফিউল আজম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় : ০১৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
টিএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।