ছবি যেন স্মৃতির সঙ্গে যোগাযোগের সেতু। ফেলে আসা দিনকে ধরে রাখার বড় আশ্রয়ও।
মৃত্যুর আগে দুই দশক ধরেই পপসংগীত, বিনোদন আর মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন প্রায় সমার্থক। ২০০৯ সালের ২৫ জুন তিনি চলে গেছেন চিরশান্তির দেশে। তার শিল্প ছিল আগাগোড়া চমকে মোড়া।
পৃথিবীকে যেন চাঁদের মাটি ভাবতেন জ্যাকসন! তাই গোড়ালিতে চাপ দিয়ে দু’পা এগিয়ে-পিছিয়ে তিনি পরিবেশন করে গেছেন তার বিখ্যাত নাচ ‘মুনওয়াক’। দর্শক-শ্রোতারা তা দেখতো মন্ত্রমুগ্ধের মতো। ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর বিশাল অংশ মাইকেল জ্যাকসনের সংগীত ও নাচে আবিভক্ত। ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে রইলো তার শৈশবের ছবি ও গল্প।
আফ্রিকান-আমেরিকার পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট জন্মেছিলেন মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। শিকাগো মহানগর এলাকার শিল্পাঞ্চল ইন্ডিয়ানার গ্যারির জ্যাকসন স্ট্রিটে দুটি শোবার ঘরের একটি বাড়িতে থাকতেন তারা।
বাবা জো জ্যাকসনের কঠোর শাসনে বেড়ে উঠেছেন মাইকেল। বাবার হাতে প্রায়ই বেল্ট ও বেত্রাঘাত খেতে হতো তাকে। জীবদ্দশায় মাইকেল জানিয়েছিলেন, যথাযথভাবে সংগীতচর্চা করতে না পারলে বাবার হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতেন তিনি। যদিও নিজের বিশাল সাফল্যের পেছনে বাবার কঠোর নিয়মশৃঙ্খলার ভূমিকা ছিলো বলেও স্বীকার করেন মাইকেল।
মাইকেল জ্যাকসনের মতো ক্ষণজন্মা শিল্পী যুগে যুগে আসে না। বিশ্বজোড়া কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে আজও তিনি অমর। এভাবেই চিরদিন দর্শক-শ্রোতার স্মৃতিতে বারবার ফিরে আসবেন পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন।
* মাইকেল জ্যাকসনের বিট ইট গানের ভিডিও :
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
জেএইচ