মঞ্চ ও টিভি অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করেন। এবারের ঈদেও তাকে কয়েকটি নাটক-টেলিছবিতে দেখা যাবে।
দৃশ্যধারণের সময় বেশ কয়েকদিন মানিকগঞ্জে ছিলেন তুষ্টি। সেখানকার একটি তাঁতি পাড়ায় পুরো কাজটা হয়েছে। এটি তাঁতিদের জীবনযাত্রার টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে সাজানো। তাঁতিদের মহাজন মামুনুর রশীদ। তার অধীনে অনেক তাঁতি কাজ করে। মহাজনের মেয়ে তুষ্টি। তিনি পছন্দ করেন আফরান নিশোকে। কিন্তু তার কাছ থেকে পাত্তা পান না। শেষে গিয়ে তাদের রসায়ন তৈরি হয়।
এবারই প্রথম নিশোর সঙ্গে অভিনয় করলেন জানিয়ে তুষ্টি বললেন, ‘অনেক বছর আগে আমরা একটি ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। অবশেষে তার সঙ্গে অভিনয় করা হলো। টেলিছবির একটি দৃশ্যে দেখা যাবে, নিশো ভাইয়ের পেছন পেছন গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি আমাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। এমন সময় সামনে পড়ে থাকা গোবর তুলে আমার মুখে মাখিয়ে দেন তিনি! আমিও তার মুখে গোবর মাখিয়ে দেই। এ দৃশ্যে সত্যিকারের গোবরই ব্যবহার হয়েছে!’
পরিচালক টেলিছবিতে যতোটা সম্ভব বাস্তবিকতা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বলে জানান তুষ্টি। এজন্য তিনি কোনো মেকআপ ব্যবহার করেননি। শাড়ি পরেছেন তাঁতিদের মতোই। তাদের কথা বলা, খাওয়া, চলাফেরা, পুকুরে গোসল করা-সহ সবই রপ্ত করতে হয়েছে তাকে। প্রতিটি দৃশ্যের কাজ করার আগে ১৫ মিনিট মহড়া করেছেন।
এর আগে শাহনেওয়াজ কাকলীর পরিচালনায় ‘বুনন’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তুষ্টি। এর গল্পও ছিলো শাড়ি বোনা নিয়ে। তবে তখন তাঁতিদের সঙ্গে মেশা হয়নি তার।
তুষ্টি বাংলানিউজকে বললেন, ‘তাঁতিদের সঙ্গে মিশে, তাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি তারা কতোটা আন্তরিক। এ ছাড়া টানা পাঁচদিন তাদের সঙ্গে থেকে বুঝেছি কাপড় বুনতে কতো পরিশ্রম করতে হয়। সুতো থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা কাপড় বোনেন। বাস্তবে না দেখলে বোঝা যায় না তা। বাস্তবিক একটা গল্পে অভিনয় করে বেশ সন্তুষ্ট আমি। ’
এ টেলিছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রওনক হাসান ও মৌসুমী হামিদ। তাদেরকে দেখা যাবে দম্পতির ভূমিকায়। এ ছাড়াও অাছেন মুনিরা মিঠু। নওমী কামরুন বিধু রচিত ‘স্বপ্নকুহক’ টেলিছবিটি ঈদের দ্বিতীয় দিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ