‘ওয়াটারনেস’-এর পর নতুন নৃত্যনাট্য মঞ্চে আনছে তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। এর নাম রাখা হয়েছে ‘অনামিকা সাগরকন্যা’।
আগামী ১১ নভেম্বর শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দর্শনীর বিনিময়ে ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র মঞ্চায়ন হবে। সাধারণ দর্শকরা ২৪ ডিসেম্বর আবার উপভোগ করতে পারবেন এটি। অনলাইনে টিকেটচাই ডটকম ও প্রদর্শনীর আগে জাতীয় নাট্যশালা ক্যাশ কাউন্টার থেকে দর্শনীর বিনিময়ে প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে।
‘অনামিকা সাগরকন্যা’ প্রসঙ্গে পূজা সেনগুপ্ত বাংলানিউজকে জানালেন, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক আর্ট অব কালচারাল সেন্টারে ইফ ফেস্টিভ্যাল অব পারফর্মিং আর্টে এর প্রিমিয়ার হয়। এ ছাড়া ঢাকার অফিসার্স ক্লাব আয়োজিত নজরুলজয়ন্তীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং ঈদের বিশেষ আয়োজনে টিভিতে এটি মঞ্চায়ন হলেও জনসম্মুখে এবারই প্রথম এর প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত তিন কবির রচনার সংমিশ্রন ঘটেছে এই নৃত্যনাট্যে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘অনামিকা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্বপ্ন’ ও জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতার সঙ্গে ভরতনাট্যম, মণিপুরী নৃত্যসহ চীনের ঐতিহ্যবাহী লোটাস ড্যান্স ও মারমেইড ড্যান্সের ফিউশন করে সাজানো হয়েছে এটি। শুরুতে এর ব্যাপ্তি ছিলো ১০ মিনিটের। ব্যয়বহুল ও নিরীক্ষাধর্মী এই কোরিওগ্রাফির দৈর্ঘ্য বেড়ে হয়েছে এখন আধঘণ্টা।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দর্শকদের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ ব্যবহার করা হয়েছে নৃত্যনাট্যে। এর মূলভাব প্রসঙ্গে পূজা বললেন, ‘অনামিকা মানে যার নাম নেই। অনামিকা সাগরকন্যা হলো এক নাম না জানা সত্ত্বা। মানবী আর দেবীর মাঝামাঝি তার অবস্থান। তাই তাকে সমুদ্রকন্যা রূপে দেখার প্রয়াস। ’
যোগ করে পূজা বললেন, “তিনকবির মানসপটে পাওয়া স্বপ্নসুন্দরীর বর্ণনায় অমিল এবং মিল দুটোই আছে। সেগুলোকে এক সুতায় গেঁথে একটি গল্প বলার প্রয়াস ‘অনামিকা সাগরকন্যা’। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ