যুক্তরাষ্ট্রে ৩৬ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে গ্ল্যামার ম্যাগাজিন। এটি মূলত নারীদের জন্য।
তবে ইউটু ব্যান্ডের গায়ক বোনোকে বার্ষিক ওমেন অব দ্য ইয়ার তালিকার শীর্ষে স্থান দেওয়ায় সমালোচিত হচ্ছে গ্ল্যামার ম্যাগাজিন। অবশ্য তারা ব্যাখা দিয়েছেন, নারী অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্যই প্রথম পুরুষ হিসেবে তাকে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
ম্যাগাজিনটির এডিটর-ইন-চিফ সিন্ডি লেইভের বক্তব্য, ‘নারীদের জয়গানের লক্ষে শুরু থেকে পুরুষদেরকে এ সম্মাননা দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছি আমরা। তবে এখন নারীদের জন্য সত্যিকার অর্থেই ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন অনেক পুরুষ। রকতারকা বোনো তাদেরই একজন। এই বিখ্যাত রকতারকা বিশ্বব্যাপী নারী ও মেয়েদের অধিকারে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে অনেক কিছু করছেন। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাকে আমাদের প্রথম ম্যান অব দ্য ইয়ার স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। ’
বোনোও মন্তব্য করেছেন, এটা তার প্রাপ্য নয়। তবে নারীদের সঙ্গে পুরুষরাও নেতৃত্ব না দিলে লিঙ্গ সমতার লড়াইয়ে জয়ী হওয়া যাবে না বলেও মনে করেন তিনি। পুরস্কারটির জন্য গ্ল্যামারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ৫৬ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, ‘এ সমস্যার জন্য আমরা অনেকাংশে দায়ী। সুতরাং আমাদেরকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যা ভাবি তার চেয়েও বেশি কিছু করা সম্ভব। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আমাদের প্রতি দায়বদ্ধ। তারা নারী ও মেয়েদের সহায়তা না করলে ভোট দিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিন। ’
বোনো গত বছর চালু করেছেন পোভার্টি ইজ সেক্সিয়েস্ট’ শীর্ষক প্রচারণা। এর লক্ষ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যবসার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বের দরিদ্রতম নারীদের সহযোগিতা করা। এ উদ্যোগ হলো আফ্রিকায় দারিদ্র ও অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইয়ের লক্ষ্যে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ান নামের একটি সংগঠনের অংশ। এর সুবাদেই মূলত সম্মাননাটি পেলেন তিনি।
অনেকে মনে করছেন, প্রথম ম্যান অব দ্য ইয়ার সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রে বোনো যুতসই। তিনি প্রমাণ করেছেন, শক্তিশালী মানুষ চাইলে সব পারে। অন্যদেরও এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
এদিকে গ্ল্যামারের এবারের তালিকায় ওমেন অব দ্য ইয়ার হয়েছেন মার্কিন গায়িকা জেন স্টেফানি, অভিনেত্রী জেন্ডায়া, মডেল অ্যাশলি গ্রাহাম, অলিম্পিক জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস, ইতালিয়ান ডিজাইনার মিউচ্চিয়া প্রাডা, ইরাকের মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড, ধর্ষণের শিকার এমিলি ডো ও ব্ল্যাক লিভস ম্যাটার পদক্ষেপের তিন প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিস কুলোরস, ওপাল টোমেটি ও অ্যালিসিয়া গারজা।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
জেএইচ