ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘খোকনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
‘খোকনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত’ কাজী হায়াৎ, ছবি: সংগৃহীত

‘যে দেশ নায়করাজ রাজ্জাককে কাজের পুরস্কার দিয়েছে, আজীবন সম্মাননায় ভুষিত হয়েছেন যিনি, যাকে চলচ্চিত্রের জন্য স্বাধীনতা পদক প্রদান করেছেন সরকার, সেই কিংবদন্তিকে নিয়ে সামান্য একজন ব্যক্তির মুখে এ ধরনের কথা আসলেই সহ্য করার মতো নয়। তার (বদিউল আলম খোকন) এতো বড় সাহস হলো কিভাবে? আসলেই মেনে নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দোষীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত বলে মনে করছি।’

সম্প্রতি নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাপরিচালক বদিউল আলম খোকনের ‘আপত্তিকর মন্তব্য’র জেরে বাংলানিউজকে এসব কথা বলেছেন কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী নির্মাতা কাজী হায়াৎ।  

সোমবার ( ২২ মে) দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে কাজী হায়াৎ আরও বলেন, ‘রাজ্জাক জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত চলচ্চিত্রের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি এখন জীবনের শেষ সময়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মৃত্যুর আগে তিনি জানছেন, আমরা কতো বড় অকৃতজ্ঞ, বেঈমান। আমরা তার কাজকে স্বীকৃতি দিতে পারলাম না। আমরা যারা এই জীবন্ত কিংবদন্তিকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করছি, আমরা নিজেরাই জানি নায়করাজ রাজ্জাকের কাছে আমরা কিছু নই। তারপরও গুণী এই ব্যক্তিকে আমরা টেনে হিঁচড়ে নর্দমায় নামানোর চেষ্টা করছি। ’

‘ত্রাস’-এর নির্মাতা কাজী হায়াৎ প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কিন্তু এতে কোনো লাভ হচ্ছে? বরং আমাদের নাকেই তো চুনের দাগ লাগছে। এমনকি পুরো চলচ্চিত্র সমাজকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকজন নিন্দুকের জন্য আজ পুরো জাতির মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে নিয়ে যারা সমালোচনায় ব্যস্ত তাদের অর্জনের ঝুলিতে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে জিরো। অথচ চলচ্চিত্রের নক্ষত্রকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে পুরো জাতিকে কলুষিত করছে। এই বিষয়টা জাতীয়ভাবে দেখা উচিত। মানুষের ভুল মেনে নেওয়া যায় কিন্তু বেয়াদবি মানা ঠিক নয়। ’ 

‘দাঙ্গা’খ্যাত এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘দুঃখ শুধু রাজ্জাক সাহেবের একার নয়। তিনি হয়তো কিছুই মনে করছেন না। কারণ তিনি বদিউল আলম খোকন সম্পর্কে হয়তো জানেন। এক কথায় বানরের গলায় মুক্তর মালা পড়েছে তো তাই এমনটা হচ্ছে। তবে এই ধরনের বেয়াদবদেরকে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। তাদের কাজ নেই, টাকা-পয়সা খাটিয়ে নেতৃত্বে এসেছে। দু’দিন না পেরুতেই নিজেই মনে করছেন আমি কি হনুরে! সম্প্রতি অনেক কর্মকাণ্ড ঘটছে চলচ্চিত্রের শেকড় সংগঠন পরিচালক সমিতিকে ঘিরে। এর জন্যই কি পরিচালক সমিতির জন্ম হয়েছিলো? নাকি এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমিতির কোনো নীতিমালার মধ্যে রয়েছে? আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি।  সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, অতি দ্রুত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দোষীকে সাজা দিন। কারণ এই ব্যক্তি শুধু রাজ্জাককেই ছোট করেননি। ছোট করেছেন এ দেশকে। ’

সম্প্রতি রাজ্জাককে ঘিরে এফডিসিতে খোকনের বাজে মন্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে হেনস্থার শিকার হন ‘প্রেমের তাজমহল’খ্যাত নির্মাতা গাজী মাহবুব। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘন্টা, ২২ মে, ২০১৭
পিএএস/এসও 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।