ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ নন্দিক কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) নন্দিক কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন ধারার প্রবর্তন করেন এ ঔপন্যাসিক। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত এটিই ছিল হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস।

‘নন্দিত নরকে’ পাঠকমহলে এতোই নন্দিত হয়েছিল যে, এরপর থেকে হুমায়ূনকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি একের পর এক পাঠকপ্রিয় উপন্যাস উপহার দিতেই থাকেন।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম মনে করা হয় তাকে। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

উপন্যাসে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরই হুমায়ূন তার বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন- নাটক, টেলিফিল্ম, চলচ্চিত্রসহ শিল্প-সংস্কৃতির নানা মাধ্যমে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে হুমায়ূন তার ক্যারিয়ারে হাতেগোনা কিছু গান লিখেছেন। তার সবগুলো গানই শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে। এক কথায় বলতে গেলে, তার লেখা একটা গানও শ্রোতা বিমুখ হয়নি।

তার উল্লেখযোগ্য গানগুলো হচ্ছে- ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘বরষার প্রথম দিনে’, ‘যদি মন কাঁদে’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’, ‘মাথায় পরেছি সাদা ক্যাপ’, ‘লিলুয়া বাতাস’, ‘বাজে বংশী’, ‘আমার আছে জল’ ও ‘চাঁন্নীপসরে কে আমারে স্মরণ করে’।

এর মধ্যে ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ গানে কণ্ঠ দিয়ে সুবীর নন্দী ২৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছিলেন মকসুদ জামিল মিন্টু। পরের বছরই ‘বরষার প্রথম দিনে’ গানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন ২৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

হুমায়ূন আহমেদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনার ছবিগুলোর মধ্যে ‘আগুনের পরশমণী’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

১৯৮০-১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ধারাবাহিক এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তার প্রথম টিভি কাহিনীচিত্র ‘প্রথম প্রহর’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়। এটি তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে।

তার অন্যতম টেলিভিশন ধারাবাহিকগুলো হচ্ছে- ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘অয়োময়’, ‘আজ রবিবার’, ‘নিমফুল’, ‘তারা তিনজন’ ‘মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘সবুজ সাথী’, ‘উড়ে যায় বকপঙ্খী’, ‘এই মেঘ এই রৌদ্র’।

পরবর্তী সময়ে তিনি বহু এক পর্বের নাটক নির্মাণ করেন। এর মধ্যে ‘খেলা’, ‘অচিন বৃক্ষ’, ‘খাদক’, ‘একি কাণ্ড’, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘অন্যভুবন’ উল্লেখযোগ্য।

অসাধারণ সৃষ্টিকর্মের অবদানস্বরুপ হুমায়ূন আহমেদ পেয়েছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা কথাসাহিত্যের এ জাদুকর।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
ওএফবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।