বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে এসবিএমআই’র পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রণোদনা বক্তারা বলেন, যে মানুষগুলো জীবনভর সকলের আনন্দের খোরাক যুগিয়েছেন এবং ভূমিকা রেখেছে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধ জয়ে, তারাই আজ চরম আর্থিক সংকটে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী হাসান (আর্ক), কণ্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতপরিচালক ফরিদ আহমেদ, সঙ্গীতপরিচালক রিপন খান, কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদ, সেভ দ্যা বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আহ্বায়ক ও সংগীতার কর্ণধার সেলিম খান, সদস্য সচিব আতিক ডালিম, প্রচার সম্পাদক ও সমন্নয়ক ফারহাতুল জান্নাত এবং বিভিন্ন সুরকার, গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী, সাউন্ড ও লাইটের মালিক ও টেকনিশিয়ানবৃন্দ।
এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা ও ব্যান্ড তারকা হাসান বলেন, শিল্পীরা সম্মানিত তাই তারা রাস্তায় নেমে তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করতে পারছেন না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা মুখ বুজেও সহ্য করতে পারছে না। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন যে সংগীতাঙ্গনকে বাঁচাতে আর্থিক অনুদান দিয়ে আপনি একজন রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি একজন মমতাময়ী মায়ের মতো ভূমিকা রাখুন।
সংগীত পরিচালক ও এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ বলেন, আজ সংগীতাঙ্গনকে বাঁচাতে এগিয়ে না আসলে কাল সংগীতকে পেশা নিতে ভয় পাবে আগামী প্রজন্ম। তাতে কালোগহ্বরে হারিয়ে যাবে বাংলা সংস্কৃতির সংগীত ধারা।
কণ্ঠশিল্পী ও এসবিএমআই-এর উপদেষ্টা মিলন মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও কলাকুশলীদের দুর্যোগ অবস্থায় পাশে থেকে পূর্বে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা আমরা কখনোই ভুলব না। আমরা আশা করি জাতীয় দুর্যোগ এই সময়ে আপনি এসবিএমআই’কে নিরাশ করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
জেআইএম