ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

অর্থাভাবে বিজেপি নেতা-অভিনেতা জয়, চাইছেন সাহায্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
অর্থাভাবে বিজেপি নেতা-অভিনেতা জয়, চাইছেন সাহায্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: ‘চরম আর্থিক সঙ্কটে আছি, আমাকে সাহায্য করুন। প্লিজ হেল্প মি।

গত আট মাস ধরে খুব অসুস্থ। পরপর দু’বার ভর্তি হয়েছি বেসরকারি হাসপাতালে। এখন বাড়িতেই আছি। ওষুধপত্রের জন্য মাসে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে। তাই আর্থিকভাবে সাহায্য করুন। ’ 

এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা তথা বড় পর্দার অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলা সিনেমার চেনা মুখ জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা হওয়ার পর থেকে জয়ের নাম আরও আলোচিত। তিনি নিজেও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য। কিন্তু বর্তমানে প্রবল আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। সে বার্তাই পাঠিয়েছেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে।

বাংলায় এবারের একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গদখলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিজেপি পানির মতোই কোটি কোটি রুপি খরচ করেছে। সেই আবর্তে দলের নেতারাই অর্থাভাবে ভুগছেন। ফলে জয় বিজেপির এক শীর্ষ নেতা হয়ে এমন সাহায্যের আর্জি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।  

কিন্তু কেনো চাইছেন আর্থিক সাহায্য? জয় জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে ১৮ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়েছে হাসপাতালে। এখন বাড়িতে আছেন। মাসে চিকিৎসার জন্য খরচ হচ্ছে ৫০ হাজার করে। সংসার টানতে সাহায্যের প্রয়োজন।

সাড়াও দিয়েছেন অনেকে, আবার কেউ কেউ মুখ ফিরিয়েও নিচ্ছেন। নিজেই জানিয়েছেন, তার আবেদনে সাড়া দিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন পাঁচ লাখ রুপি। সাহায্যের জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির কেন্দ্রীয় সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও আবেদন করেছেন।

তবে কারা সাহায্য করেছেন, তাও জানিয়েছেন জয়। নিজের দল থেকে পেয়েছেন তিন লাখ, রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিয়েছেন তিন লাখ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব পাঁচ লাখ রুপি দিয়েছেন। সাহায্য করেছেন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসসহ অনেকে। কেন্দ্রীয় নেতারা অর্থাৎ মোদী-শাহ-নাড্ডা-যোগীরাও সাহায্য করবেন বলে আশা রাখেন জয়।

তবে এই সাহায্য নেওয়ায় অন্যায় দেখছেন না জয়। তিনি বলেছেন, ‘আমি তো পলিটিক্যালি কোনো চুরি করিনি। ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে অভিনয় বন্ধ, রোজগার নেই। ২০১৭ সাল থেকে বাবা ঘরে বসে গিয়েছেন। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি, তাই সাহায্যের আবেদন করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
ভিএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।