ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাই তুলে ধরেছেন জহির রায়হান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাই তুলে ধরেছেন জহির রায়হান

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নির্মাতা ছিলেন জহির রায়হান। যার ক্যামেরায় সেলুলয়েডে উঠে এসেছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম আর রক্তাত্ব ইতিহাস।

যিনি তার নির্মাণশৈলীতে তুলে ধরেছেন শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের কথা।  

জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগষ্ট ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা চলচ্চিত্রের পুরোধা ব্যক্তির জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।  

জহির রায়হান ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি চলচ্চিত্রে নাম লেখান ১৯৫৭ সালে ‘জাগো হুয়া সাভেরা’র সহকারী পরিচালক হিসেবে। পরিচালক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ হয় ১৯৬১ সালে ‘কখনো আসেনি’ সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে।  

১৯৬৮ সালে জহির রায়হান পরিচালনা করেন রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’। ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় তিনি নির্মাণ করেছিলেন কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’। চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রতিপাদ্য করে জহির রায়হান নির্মাণ করেছিলেন ‘স্টপ জেনোসাইড’। এতে তিনি ক্যামেরার চোখে বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন নিরীহ বাঙালির উপর পাক বাহিনীর বর্বরতার চিত্র।  

এই নির্মাতা আরও নির্মাণ করে গেছেন ‘সোনার কাজল’, ‘বাহানা’, ‘বেহুলা’ ও ‘আনোয়ারা’র মতো বেশ কয়েকটি নন্দিত সিনেমা।

শুধু চলচ্চিত্রই নয় জহির রায়হান প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সাহিত্যেও। ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘আরেক ফাল্গুন’র মতো কালজয়ী উপন্যাসও উঠে এসেছে তার লেখনীতে।  

১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বড় ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে মিরপুরে খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হন জহির রায়হান। এরপর আর ফিরে আসেননি তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।