ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

পঁচাত্তরে আসাদুজ্জামান নূর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
পঁচাত্তরে আসাদুজ্জামান নূর আসাদুজ্জামান নূর

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরের জীবনে যোগ হলো আরও একটি বসন্ত। রোববার (৩১ অক্টোবর) ৭৪ পেরিয়ে ৭৫-এ পা দিয়েছেন তিনি।

জন্মদিনে সামাজিক মাধ্যমে সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই অভিনেতা।  

আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘তোমারই হোক জয়’ শীর্ষক জন্মোৎসব। এই নন্দিতকে ঘিরে এটাই প্রথম কোনও আয়োজন।

১৯৪৬ সালে ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলায় আসাদুজ্জামান নূরের জন্ম। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে। দেশের অন্যতম সেরা নাট্য সংগঠন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যুক্ত রয়েছেন।  

মঞ্চে ‘নূরুল দীনের সারাজীবন’ নাটকে তার অভিনয় দাগ কাটে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে নাটক নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। নূরের নির্দেশিত নাটক ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ চার দশক ধরে মঞ্চায়ন হচ্ছে। এছাড়া ‘গ্যালিলিও’ নাটকে অভিনয় করেও প্রশংসিত হয়েছেন ‘বাকের ভাই’খ্যাত এই অভিনেতা।

মঞ্চের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকেরও দাপুটে অভিনেতা তিনি। ১৯৭৪ সালে আবদুল্লাহ আল–মামুনের লেখা ‘রঙের ফানুস’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশনে তার যাত্রা শুরু হয় তার।

নব্বইয়ের দশকে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। পরবর্তীতে দেশ টিভির ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি নিজেকে নিয়ে যান নতুন এক উচ্চতায়।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সদস্য, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য।

১৯৮২ সালে ডাক্তার শাহীন আকতারকে বিয়ে করেন সাংস্কৃতিক এই ব্যক্তিত্ব। সংসার জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। ছেলে সুদীপ্ত লন্ডনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে দেশে একটি কোম্পানিতে কর্মরত। মেয়ে সুপ্রভা সংসার জীবনে সুখেই রয়েছেন।

জীবনের প্রথমদিকে বাম রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ান নন্দিত এই অভিনেতা। শ্রেণি-সংগ্রাম, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য তিনি লড়াই-সংগ্রাম করেছেন জীবনের অনেকটা সময়। বহমান স্রোতের আদর্শবান পুরুষ হিসেবে আসাদুজ্জামান নূর পেয়েছেন যশ, খ্যাতি, প্রশংসা, পুরস্কার এবং লক্ষ্য-কোটি দর্শকদের ভালোবাসা।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসে নীলফামারী-২ (সদর) আসন থেকে এ পর্যন্ত টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক’সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন গুণী এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।