ভারতের বিখ্যাত শিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী জীবদ্দশায় ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘পদ্মবিভূষণ’ পাননি। এতো সম্মানিত ব্যক্তি হয়েও এখনো এই পুরস্কারটি তিনি না পাওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
বাবার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এমনটি জানিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী।
সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পা বলেন, ‘সংগীত জগতে বাবার অবদান প্রচুর। তবে বাবার একটাই দুঃখ ছিল, দেশের সর্বোচ্চ সম্মান তিনি পাননি। বিশেষ করে পদ্মবিভূষণ। যেসব শিল্পী ইতোমধ্যেই পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন, বাবা তাদের তুলনায় কোনো অংশেই কম ছিলেন না। ’
এছাড়াও তিনি জানান, বাপ্পি লাহিড়ীর বর্ণাঢ্য জীবন ও তার স্ট্রাগলের গল্প নিয়ে বায়োপিক নির্মাণ করতে চান। বাপ্পি লাহিড়ীও বিষয়টি জানতেন। এই কিংবদন্তি চাইতেন রণবীর সিং যেন তার চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি সিনেমা জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ী। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তার শেষ গান বাগি- ৩ এর জন্য।
কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দু’জনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা, বাবার কাছেই পেয়েছিলেন প্রথম গানের তালিম। মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বাপ্পি নামে।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। শরীরে প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালবাসতেন তিনি। বলতেন, ‘আমার ভগবানের নাম সোনা!’ ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অন্যরকম পরিচিতি দিয়েছিল। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান।
মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ১৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
জেআইএম