জীবনের উল্টো পিঠেই থাকে মৃত্যু। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কেউই চায় না।
কী হয় আত্মহত্যার পর একটি পরিবারে? কাছের মানুষগুলো কেমন থাকে তখন? সামজেই বা কী প্রভাব পড়ে? কীভাবে থামানো যায় আত্মহত্যার মহোৎসব, সে বিষয়টিও উঠে আসছে কবিতা, গান, সাহিত্যে ও চলচ্চিত্রে।
সম্প্রতি আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘জীবন পাখি’। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা আসাদ সরকার।
শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটি প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিনেমার সিনেমার নির্মাতা, শিল্পী এবং কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্মাতা আসাদ বলেন, ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিনেমাটি নির্মাণ করা। আত্মহত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং কোনো যুক্তিতেই নয়। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে যে বার্তাটি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা সবার কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। আমি মনে করি, এই বার্তা আত্মহত্যার প্রবণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। ’
‘জীবন পাখি’তে অভিনয় করা মোহনা মীম বলেন, ‘আমরা চাই সমাজকে আত্মহত্যার মতো পাপ থেকে মুক্তি পাক। সিনেমাটি দেখার পর মানুষ আত্মহত্যার বিপরীতে অনেক বার্তা পাবে। বিষণ্ণতায় থাকা মানুষটিও জীবনের ভুলগুলো থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। সিনেমার মূল বিষয়টি আত্মহত্যার রিপরীতে সামাজিক বার্তা। ’
উক্ত অনুষ্ঠানে সিনেমাটির কলাকুশলী ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত এবং অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
রাজশাহীর বিভিন্ন লোকেশনে ‘জীবন পাখি’ চিত্রায়ণ হয়েছে। এতে আরো অভিনয় করেছেন গায়ক মুহিন খান, কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, মীরাক্কেলের আবু হেনা রনি, সুমনা সরকার, লাবনী, সঞ্জিব আহমেদ, আজাদ আবুল কালাম ও সুজন হাবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
এনএটি