ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদী উত্তাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদী উত্তাল

সাতক্ষীরা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদী।

 

প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ছে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর। বাড়ছে আতঙ্ক। উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিং। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে জানমালের নিরাপত্তায় স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।  

শ্যামনগরের কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া, চুনা, কালিন্দিসহ স্থানীয় নদ-নদী পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান জানান, স্বাভাবিকের তুলনায় বর্তমানে দুই-তিন ফুট পানি বেড়েছে। বর্তমানে জোয়ার চলছে। এজন্য কিছুটা ঝুঁকিও বেড়েছে।

আটুলিয়ার জুবায়ের মাহমুদ জানান, সকাল থেকেই শ্যামনগরে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস বইছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত থাকলেও মানুষের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে।

পদ্মপুকুরের সালাউদ্দীন জানান, পাতাখালীতে প্রচণ্ড ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেড়িবাঁধের ওপর। এরই মধ্যে বাঁধের নিচের মাটি সরে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় নদীর বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু বাঁধ ভেঙে গেলে করার কিছু থাকবে না।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বলেন, সবার মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। এলাকাজুড়ে মানুষকে সতর্ক করে ও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া হরিষখালী, পার্শেমারী, খলষিবুনিয়া, লেবুবুনিয়াসহ পাঁচটি স্থানে বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। কী হবে বলা যাচ্ছে না।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় উপজেলায় মোট ১৬৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যায় শ্যামনগর উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এজন্য সবাই যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যান, সে লক্ষ্যে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্রমেই উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে মোংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। রাতে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।