ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ম্যাপলক্রোফটের প্রতিবেদনেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশ

কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৩
ম্যাপলক্রোফটের প্রতিবেদনেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশই বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভুগী দেশ হতে যাচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় তা উঠে এসেছে।



যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান ম্যাপলক্রোফট-এর ষষ্ঠ বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা সূচকে (ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ভালনারলিবিটি ইনডেক্স) বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে থাকে ম্যাপলক্রোফট।

প্রতিষ্ঠানটি বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ ও শহর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, তার একটি ক্রম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
 
তালিকায় দেশগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। আর শহরের মধ্যেও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম। শহরের অবস্থানটি অবশ্য ঢাকার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে ভারতের মুম্বাই।

ঢাকা ও মুম্বাইয়ের পরে ‘চরম’ ঝুঁকির শহরের স্থান হচ্ছে, যথাক্রমে ম্যানিলা, কলকাতা ও ব্যাংকক। সবচেয়ে কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে লন্ডন ও প্যারিস।

বিশ্বের ১৯৩টি দেশের ওপর এ বিশ্লেষণ চালানো হয়। ঝুঁকির সহনশীলতার মাত্রানুযায়ী, এই দেশগুলোকে ‘চরম’, ‘মধ্যম’ এবং ‘নিম্ন’ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।

তালিকায় ‘উচ্চ’ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে গিনি- ‍বিসাউ, সিয়েরা লিয়ন, হাইতি, দক্ষিণ সুদান, নাইজেরিয়া, প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও ইথিওপিয়া।

ব্যাপক বায়ুদূষণ সত্ত্বেও এই তালিকায় চীনের স্থান নেই। বিশ্বের প্রায় দুশটি দেশের মধ্যে এশিয়ার এই দেশটির অবস্থান ৬১তম।

অন্যদিকে, সূচকের একদম নিচের দিকে আছে উত্তর ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড।
 
এদিকে, চলতি বছরের শুরুতে যদিও এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,  যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব আঘাত হানবে। তবে ম্যাপলক্রোফটের এই সূচকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রকেই অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৩টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৫৮তম।
 
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জিডিপির ওপরও প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব দেশ যখন ২০২৫ সলের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া শুরু করবে, তখনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে।

পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের প্রধান বিজ্ঞানী ডগ পার বলেন, ‘এ প্রতিবেদন বলে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘অধিক মাত্রায় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণকারী দেশের অনেক দায়িত্ব আছে। তারা জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলছে না, এটা অস্বীকার নৈতিকভাবে অন্যায় হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৩
কেএইচ/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।