পদ্মাপাড়, লৌহজং থেকে: ‘বনের বাঘ থাকুক বনে, ঘুড়ি উড়ুক নীল গগনে’ - এ স্লোগান দিয়ে শুরু হলো ‘জাতীয় ঘুড়ি উৎসব-২০১৫’।
উৎসবে ওড়ানো হবে হাজার রকমের ঘুড়ি।
২০টি বাঘ, ২০টি বাঘের থাবা এবং ২০টি পুষ্প ঘুড়িসহ একগুচ্ছ আধুনিক ও দেশি ঘুড়ি ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের এই আয়োজন উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
কক্সবাজারে এই উৎসবের আয়োজন থাকলেও অবরোধের কারণে তা মুন্সীগঞ্জে পদ্মাপাড়ে উদ্বোধন করা হয়।
মেনন বলেন, অবরোধ উপেক্ষা করে এখানে এত মানুষের আগমন প্রমাণ করে তারা অবরোধ চান না। ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ঘুড়ি হবে অনন্য উপাদান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন চীনা দূতাবাসের সংষ্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা হুয়াং লী। তিনি বলেন, এই উৎসব কেবল আনন্দের জন্য নয়। সব মানুষকে এক জায়গায় করার প্রয়াস।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান ছাড়াও ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি ড. এ আর খান, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে রয়েছে, বাঘ ও সিংহ নৃত্য, ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগিতা।
আকর্ষণীয় পর্বে সহস্র ঘুড়ি উড্ডয়নে পকেট কাইট, স্ট্যান্ট কাইট, ড্রাগন কাইট, সিরিজ কাইট, ট্রেন কাইট, ডেলটা ও কমপ্লেক্স কাইট, বক্স কাইট উড্ডয়ন করা হবে।
সন্ধ্যায় ফানুস ওড়ানো ছাড়াও থাকবে আলোকময় ঘুড়ি উড্ডয়ন এবং মঙ্গল প্রদীপ, আলপনা তৈরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৪