ঢাকা: পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরের চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! প্রভুভক্ত এ প্রাণীটি নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন আস্থাভাজন, তেমনি অবসরের বন্ধুও। সব মিলিয়ে কুকুর শখের প্রাণীই বটে।
আর হয়তো এ কারণেই এবি থমাস পছন্দসই একটি কুকুরের খোঁজে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা প্রাণী আশ্রয় কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে গিয়ে তো তার চক্ষু চড়কগাছ!
থমাস দেখলেন, একটি কুকুর তার সঙ্গী অন্য এক মৃত কুকুরকে খাচ্ছে!
তিনি কি ভুল দেখছেন! নাহ, তবে এমন কেন ঘটবে! কুকুরপ্রেমী শহরের এ হাল হওয়ার তো কথা নয়! খাঁচায় কি এদের খাবার জন্য কোনো খাদ্যই ছিল না! আর কতটাইবা ক্ষুধার্ত ছিল ওরা, যে খেয়ে ফেললো তার সঙ্গীকে!
শোনা যাক থমাসের মুখেই, আমি দেখলাম, একটি মা কুকুর ও তার বাচ্চা মিলে অন্য একটি কুকুরকে খাচ্ছে।
খাঁচাটি কুকুরের মলমূত্রে ভরা আর সেখানে কিছুই ছিল না বলেও জানান তিনি।
ইদাবেল শহরের আশ্রয় কেন্দ্রটির এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে থমাস সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশ করেন। ভিডিওটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ছয় হাজার ক্ষুব্ধ জনতা আশ্রয়কেন্দ্রের পশু নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনলাইনে অভিযোগ করে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। একইসঙ্গে ফেসবুকেও পড়ে যায় ব্যাপক সাড়া।
অন্যদিকে, স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে পশুদের যথাযথ যত্ন ও খাবার দেওয়া হয় না, একথা যুক্তিহীন বলে তারা জানায়।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ প্রধান জন মার্টিন জানান, এটি দুর্ঘটনা মাত্র।
এ বিষয়ে শহরের মেয়র টিনা ফসি থমাস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করা হবে। অবশ্যই আমরা পদক্ষেপ নেব। তবে সে সময় এখনো আসেনি।
ঘটনার এ আলোড়নের মাঝেও সুখবর, থমাস ওই মা কুকুর ও তার ছানাকে সাদরে ঘরে নিয়ে এসেছেন। কুকুরছানাটির নাম রেখেছেন জয়।
তিনি জানান, এ নামকরণের কারণ ছানাটি নিজেই। নামের মতোই সবসময় সে উচ্ছ্বসিত থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫