শিল্পীর মন সবসময় এঁকে যায় ছবি। আর ছবি আঁকতে যে সবসময় ক্যানভাস আর রং তুলিরই প্রয়োজন তা কিন্তু নয়।
চিন্তাশীল মনই ছবি আঁকার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
আর এই হাতিয়ার নিয়েই লড়াই করছেন মিহা ব্রাইনোভেক। প্রাকৃতিক উপকরণকে মনের মতো সাজিয়ে দিচ্ছেন মনের মতো রূপে।
জলমানব ( হ্রদের পাড়ের কাদা ও গাছে শেকড় দিয়ে তৈরি)।
বনের আত্মা (খাঁড়ির কাদামাটিতে তৈরি)
শৈশবে সব শিশুর মতোই পৌরাণিক কল্পকাহিনীর চরিত্রগুলোকে সামনাসামনি দেখতে চাইতেন মিহা। কিন্তু তাই কি কখনো হয়? অন্যদের মতো সেই কল্পকাহিনীর চরিত্রগুলো ধরা দেয়নি মিহাকেও।
গায়া (জলচিত্র)
মিহা বলেন, এখন বড় হয়েছি। তবুও আমার ভেতরের শিশু মিহা আজও উন্মুখ হয়ে আছে তাদের দেখা পাওয়ার আশায়।
শরৎপরী (লাঠি ও পাতার তৈরি)
তাই হয়তো একদিন বনের ভেতর গেলেন তিনি। মন্ত্রমুগ্ধ একটি জায়গা খুঁজে নিলেন। এরপর একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করলেন।
আত্মা (জলচিত্র)
প্রাকৃতিক উপকরণ সংগ্রহ করে কাজ করতে লাগলেন। যেমন: কাদামাটি, গাছের কাণ্ড, পাতা ইত্যাদি। ওইসব উপকরণের ভেতর থেকেই বেরিয়ে এলো তার স্বপ্নের চরিত্রগুলো।
বনপরী
মিহা আরও বলেন, এসব জিনিস যতটা না আমি তৈরি করেছি তার বেশি যেন তারা নিজে থেকেই তৈরি ছিল।
বনের অভিভাবক (জলচিত্র)
এসব কাজের ফলে দিনে দিনে তার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে বলে জানান তিনি।
সবুজ মানব (খাঁড়ির কাদামাটি)
খোলা প্রাকৃতিক পরিবেশে এসব শিল্পকর্ম তৈরি করা হয় বলে বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তবে এতে মিহার ভ্রুক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, কোনো কিছুই চিরন্তন নয়। সবকিছুরই ক্রিয়া বিক্রিয়া দুটোই আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫