ছেলেবেলা থেকেই তো জেনে এসেছি সূর্য আমাদের আলো দেয়। পৃথিবী ও অন্য গ্রহ প্রতিনিয়ত সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা সবসময়ই ওঁৎ পেতে থাকেন সৌরজগতে কখন কি হচ্ছে বা হতে চলেছে সেসব বিষয় নিয়ে।
নাসার বিজ্ঞানীরা এবার জানিয়েছেন, সূর্যের উপরিতল বা পৃষ্ঠভাগ প্রতিনিয়তই পাল্টায়। ঠিক এই ব্যাপারটিই নিশ্চিত করেছে মহাশূন্যে অবস্থানরত সৌর ডায়ানামিক পর্যবেক্ষণ স্পেসক্রাফটটি। যে কিনা সার্বক্ষণিক সূর্যের ছবি তুলে যাচ্ছে।
চারটি টেলিস্কোপ বিশিষ্ট অ্যাটমোস্ফেরিক ইমেজিং অ্যাসেমব্লি স্পেসক্রাফটটি প্রতিদিন ৫৭ হাজার ছবি তুলছে। আর অবিশ্বাস্যজনক ঘটনা হলো, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি এটি ছবি তোলে প্রায় ১০০ মিলিয়ন।
এঘটনায় নাসার বিজ্ঞানীরা ভীষণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। তাহলে আমরাই বাদ রইবো কেন।
চলুন দেখে নিই অ্যাটমোস্ফেরিক ইমেজিং অ্যাসেমব্লি স্পেসক্রাফটের তোলা সূর্যের বিশেষ কিছু ছবি।
ছবিটি তোলা হয়েছে ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ সালে।
একেই বুঝি বলে গনগনে সূর্য। ছবির নাম “মোজাইক”।
২০১১ সালের ৭ জুন তোলা হয় সূর্যের উৎক্ষেপণের এই ছবিটি।
চাঁদের কলঙ্ক আছে বলে আমরা জানি। তবে এখন এই ছবিটি বলছে সূর্যেরও আছে কলঙ্ক। ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর তোলা এই ছবিটি।
জোতির্বলয় দ্বারা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার দৃশ্য। ছবিটি গত বছরের অক্টোবরের ২৪ তারিখে তোলা।
কমেটের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে কমেট।
সূর্যপৃষ্ঠ থেকে প্লাজমার উৎক্ষেপণ। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তোলা হয় ছবিটি।
কি ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে না যে সূর্যমামা তাকিয়ে আছে।
কনট্রাস্ট ইনক্রেজিং ফিল্টার দিয়ে এই তিনটি রং তৈরি করা হয়েছে। কালো অংশগুলো অপেক্ষাকৃত গরম জায়গা।
ভেনাসের অতিক্রমণ ২০১২ সালের জুনের ৫-৬ তারিখ।
গত বছরের ২২ নভেম্বরের ছবি। সূর্য ও স্পেসক্রাফটের মাঝে এসে পড়েছিল চাঁদ।
২০১১ সালের তোলা এই ছবিটির দুটো অংশের বাম পাশের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে মধ্যপন্থি বিস্তরণ পথের আলোকরশ্মি ও ডানপাশে দেখা যাচ্ছে আলোর উন্মুক্ততা ও এর আগের অবস্থা।
এই ছবিটিতে প্রদর্শিত প্রতিটি রঙই তাদের অতিবেগুনি রশ্মির ঘনত্ব প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫