ঢাকা: ডাইনিং টেবিলের ওপর রাখা ফলের ঝুড়িতে সাধারণত থাকে মৌসুমী ফল। কলা, আপেল আর কমলার মতো যেসব ফল সারাবছর পাওয়া যায়, সেগুলো তো আছেই।
তবে মানুষ সবসময়ই ছোটে নতুনত্বের খোঁজে। পৃথিবীতে এমন কিছু ফলমূল ও সবজি রয়েছে যা সচরাচর পাওয়াও যায় না, আবার সবার কাছে পরিচিতও নয়।
এই ধরুন ইয়র্ডলংয়ের কথা। ফলটি এত দ্রুত বড় হয় যে বলবার জো নেই। আবার ডুরিয়ান নামে এক ধরনের ফল রয়েছে যার গন্ধ নোংরা মোজার মতো, তবে স্বাদে একদম ক্রিম আমন্ড কাস্টার্ড।
এমন আরও অনেক ফল রয়েছে। কোনোটি হয়তো বুনো ফল, কোনোটি দেখতে সুন্দর কিংবা অদ্ভুত। এরকম কিছু ফল নিয়েই এবারের আয়োজন, দেখে নেওয়া যাক একবার।
ছবির এ ফলটি যে তরমুজ, সেটা কেউ বলবে! মানুন আর না মানুন, এর নাম ‘হর্নড মেলন’ বা শিংওয়ালা তরমুজ। আফ্রিকায় এটিকে হর্নড কিউকাম্বার ও জেলি মেলন বলা হয়। ক্যালিফোর্নিয়া, মিসিসিপি, চিলি ও নিউজিল্যান্ডে এ ফলটি জন্মায়।
হঠাৎ দেখলে মনে হবে, কমলা রঙের একটি শেয়াল তাকিয়ে রয়েছে। এ ফলটির নাম ‘আকি’। পশ্চিম আফ্রিকা, ক্যামেরুন, গ্যাবন, ঘানা, গুয়েনা, মালি, নাইজেরিয়া ও সেনেগালে এটি পাওয়া যায়।
এটি পুহালা গাছের ফল।
ব্রোকোলি তো আমরা সবাই চিনি। কিন্তু ছবির এ সবজিটিও কিন্তু এক প্রকার ব্রোকোলি। নাম ‘রোমানেসকো ব্রোকোলি’। এর জন্মস্থান যুক্তরাষ্ট্রে।
ফলটির নাম ‘ফিঙ্গার্ড সিট্রন’। দেখতে হাতের আঙুলের মতো। তাই হয়তো এর এই নাম। ধারণা করা হয়, এর জন্ম উত্তর-পূর্ব ভারত অথবা চীনে। চীন ও জাপানে ফলটি ঘর ও জামাকাপড়ের সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
গোলাপি এ ফলটির নাম ‘পিতায়া’। ক্যাকটাস প্রজাতির গাছের এ ফলটি ‘ড্রাগন ফ্রুট’ নামেও পরিচিত। পাওয়া যায় কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়াতে।
‘আশিয়ট’ নামের এ ফলটির খোসা লাল রঙের। এর শরীর জুড়ে লোমের মতো এক ধরনের কাঁটা। ফলটির ভেতরের অংশে ছোট ছোট দানাদার লাল ফল। এগুলো মাখন, চিজ, পপকর্ন, পাউরুটি ও পানিয়তে ফুড কালার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ফলটির নামই ‘ডুরিয়ান’। গল্পের শুরুতে বলছিলাম এ ফলটির কথাই।
‘সাদা করলা’। কেমন স্বাদ হতে পারে এ করলার বলুন তো!
‘আগুয়েজ’ নামের এ ফলটি জন্মায় দক্ষিণ আমেরিকার আর্দ্র আবহাওয়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫