ঢাকা: পৃথিবীতে নানা ধরনের শিল্প রয়েছে। রয়েছে নানাবিধ শিল্পের মাধ্যম।
শুধু কাগজ আর রঙ-তুলির মধ্যেই চিত্রকলা আবদ্ধ নয়। বর্তমান সময়ে চিত্রকলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো বডিপেইন্টিং। এতে প্রাকৃতিক ও কল্পকাহিনীর চরিত্রগুলোকে মানবদেহে রঙ-তুলির আঁচড়ে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।
অনেকে শখের বশে, আবার অনেকে পেশা হিসেবেই বেছে নিয়েছেন বডিপেইন্টকে। চলুন পরিচয় করিয়ে দিই অসাধারণ আর ভিন্নমাত্রিক এ শিল্পের সঙ্গে।
ছবিটি দেখে কী মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, মানুষের হাত-পা দিয়েই এটি বানানো। একটি পাঁতিহাস ছোট্ট শিশুকে থলেতে ভরে উড়ে যাচ্ছে। নিখুঁতভাবে তৈরি এ শিল্পকর্মটি যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে চেনা কোনো কল্পকাহিনীকে।
এখানেই শেষ নয় আরও রয়েছে। তবে তা দেখার আগে একটু পরিচিত হয়ে নিই, যিনি এইসব অসাধারণ শিল্পকর্মগুলো সৃষ্টি করেছেন। নাম কেট ডিন, পেশায় বডি পেইন্টার। তিনি নর-নারীর শরীরে নজরকাড়া অঙ্কনের মাধ্যমে শিল্পটি সবার সামনে তুলে ধরছেন।
কেট তার সৃষ্ট ছবিগুলোতে পাখির মাধ্যমে মানুষের জীবনের ঘটনাবলিকে তুলে ধরেছেন। যেমন- পছন্দসই জীবসঙ্গী খোঁজা, সন্তান জন্মদান ও তাদের দেখাশোনা ইত্যাদি। এ পুরো সিরিজটির তিনি নাম দিয়েছেন ‘লাইফ ইন ফ্লাইট’।
পুরো সিরিজের কাজ শেষ করতে তার সময় লেগেছে দীর্ঘ আট মাস। ৩২ বছর বয়সী এ শিল্পী সতেরো বছর বয়স থেকেই ফেইস পেইন্টিং শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বডি পেইন্টিংয়েও দক্ষতা অর্জন করেন।
যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলবাসী এ বডি পেইন্টার জানান, ২০০৫ সালে ‘ওয়ার্ল্ড বডি পেইন্টিং ফেস্টিভালে’ অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়েই বডি পেইন্টিংয়ে তার যাত্রা শুরু।
এ নিয়ে তার ভাষ্য, আমি অনুভব করি যে, বডি পেইন্টিংই আমার আসল পেশা হওয়া উচিৎ।
যদিও এর উপর তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না, তবে সৃজণশীলতা তাকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের দোড়গোড়ায়।
আট মাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফসল এ ছবিগুলো। মডেলদের শরীরে ছবিগুলো আঁকা ও এক একটি ফটোসেশনের জন্য সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো।
আমি আমার ছবিগুলো নিয়ে ভীষণ গর্বিত। এগুলো আমার জীবনের শেষ্ঠ কাজ, শেষে যোগ করেন কেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫