ঢাকা: আচ্ছা এমন যদি হয়, নিজের সব দুশ্চিন্তা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া গেল, তাহলে কেমন হয়! এই ধরুন, একটি পুতুলকে রাতের বেলা আপনার সব দুশ্চিন্তাগুলো বলে ঘুমিয়ে পড়লেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, সব চিন্তা দূর!
আজ পর্যন্ত কারও চিন্তা দূর হয়েছে কিনা তা জানা না গেলেও দুশ্চিন্তা বলার মতো পুতুলের খোঁজ মিলেছে।
গুয়েতেমালায় লোককাহিনী অনুযায়ী, ঘুমানোর আগে কেউ যদি ওয়ারি ডলকে তার সব দুশ্চিন্তার কথা বলে তাকে বালিশের নিচে রেখে ঘুমায়, তাহলে সকালের মধ্যেই তার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।
মানুষের সব দুশ্চিন্তা নিজে বহন করে বলেই বুঝি পুতুলটির নাম ওয়ারি ডল বা চিন্তা পুতুল। ওয়ারি ডল কাপড় ও উল দিয়ে বানানো হয়।
ওয়ারি ডল তো মানুষের দুশ্চিন্তা দূর করবে কিন্তু মানুষের কী এর জন্য কিছুই করার নেই! আর তাই হয়তো থমাস মার্কজন ছয় হাজার ওয়ারি ডল দিয়ে বানিয়েছেন নজরকাড়া ‘ওয়ারি ডল ভাস্কর্য’।
অস্ট্রেলিয়ান এ শিল্পীর ভাস্কর্যটি ২০১৩ সালের জুন মাসে সিডনির ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে প্রদর্শিত হয়। গোলাকার এ ভাস্কর্যের ভেতরে ছিল একটি রেকর্ডিং স্পিকার।
প্রদর্শনীর দিন দর্শকরা বিপুল উৎসাহের সঙ্গে তাদের সব দুশ্চিন্তা ওয়ারি ডলের সামনে এসে বলেন। অন্যদিকে ইন্টারনেটেও ওয়ারি ডল ওয়েবসাইটে রয়েছে ভাস্কর্যটির অনলাইন ভার্সন। পাশাপাশি রেকর্ডিং অপশন, যাতে করে যে কেউই তাদের দুশ্চিন্তাগুলো বিনিময় করতে পারে ওয়ারি ডলের সঙ্গে।
ভাস্কর্যটি বানানোর জন্য ছয় হাজার ওয়ারি ডল গুয়েতেমালা থেকে বানিয়ে আনা হয়।
ভাস্কর্য নিয়ে অনেক কথা হলো, এবার এটির স্রষ্টাকে নিয়ে কিছু বলা যাক। ৩৩ বছর বয়সী এ শিল্পী কাজ করেন ফটোগ্রাফি, ভাস্কর্য, ভিডিও ও অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। তার কাজে প্রভাব বিস্তার করে সমাজ, মানুষের আচার-আচরণ ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব।
কখনও সিডনিতে ডাব্লিনের সায়েন্স গ্যালারি ও অন্টারিওর জাদুঘরে গেলে দেখতে পাবেন মার্কজনের অন্যান্য কাজগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫