ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

রক্তিম চন্দ্রগ্রহণেই যিশুর পুনরুত্থান!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৫
রক্তিম চন্দ্রগ্রহণেই যিশুর পুনরুত্থান! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বহির্বিশ্বে পড়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনার ধুম। মহাকাশ গবেষকরাও বেশ ব্যস্ত।

কথা হলো, চন্দ্রগ্রহণ তো এই প্রথমবারের মতো হচ্ছে না। তবে কিসের এত ভাবনা!

টকটকে লাল চাঁদ বলেই কি এত শোরগোল! নাহ, তাও নয়। গেল বছরইতো দু’বার রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ দেখলো বিশ্ববাসী।

হ্যাঁ, রহস্য এখানে একটি রয়েছে। এবারের রক্তিম চাঁদ আর চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে উঠে এসেছে একটি আধ্যাত্মিক বিষয়ও।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশু খ্রিষ্ট পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তিনি পুনরায় ফিরে আসার আগে পৃথিবীতে কিছু প্রাকৃতিক পরিবর্তন দেখা দেবে। তার মধ্যে রক্তিম চাঁদ অন্যতম।

খ্রিষ্ট ধর্মযাজকরা বলছেন, বাইবেলে যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের আগে এ সংকেত দেখা যাবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে জ্যোতির্বিদরা বলছেন, চলতি বছরের ০৪ এপ্রিল রূপালি চাঁদ ধারণ করতে যাচ্ছে লাল বর্ণ।

রক্তিম চাঁদ মহাকাশে ঘটে যাওয়া বিরল ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর মধ্যে গেল বছরের ১৫ এপ্রিল ও ০৮ অক্টোবর চন্দ্রগ্রহণের সময় দেখা গেছে রক্তিম চাঁদ।

বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালেও ঘটবে এমন আরও দু’টি চন্দ্রগ্রহণ। যেখানে বিশ্ববাসী দেখবে তৃতীয় ও চতুর্থ রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ।

চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করার ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর এসে পড়ে। তাই চাঁদ কখনও আংশিক আবার কখনও পুরোপুরি ঢেকে যায়। তবে গত বছরের বিরল দুই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ প্রথমে কমলা রঙ ধারণ করে। পরে ধীরে ধীরে রক্তবর্ণের হতে থাকে। গ্রহণ মিলিয়ে যাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চাঁদের রঙ বাদামি হয়ে আসে। চাঁদের এই লাল বর্ণ ধারণ করার জন্যই জ্যোতির্বিদরা নাম দিয়েছেন ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাঁদ।

তবে, এত কাছাকাছি সময়ে চারটি চন্দ্রগ্রহণ গত দুই হাজার বছরে হাতে গোনা কয়েকবারই ঘটেছে।

একজন মার্কিন পাদ্রির মতে, বিরল এ ঘটনার ভবিষ্যতবাণী অনেক বছর আগেই বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে।

কিং জেমস বাইবেল সংস্করণ অনুযায়ী, সূর্য অন্ধকারে ছেয়ে যাবে ও চাঁদে দেখা দেবে রক্তিম আভা। আর এটাই হবে মহান যিশু খ্রিষ্টের আগমনী বার্তা।

বাইবেলের জোয়েল অধ্যায়ে আরও বলা হয়েছে, প্রভু তখনই পৃথিবীতে পুনরায় ফিরে আসবেন, যখন সূর্যে থাকবে না কোনো আলো।

বাইবেলে আরও উল্লেখ রয়েছে, যিশু আসবেন। তার সংকেত হিসেবে থাকবে চাঁদ, তারা ও সূর্য।

তবে তা কবে বা কত শতাব্দীতে এর কোনো ধরাবাঁধা সময়ের উল্লেখ নেই।

ইতিমধ্যে অনেকেই ধারণা করছেন, চতুর্থ রক্তিম চাঁদই তার সংকেত হিসেবে যথেষ্ট। যা কিনা এ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। ইস্টারের সপ্তাহেই দেখা দেবে রক্তিম চাঁদ। আর এটাই পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার রহস্যময় সূচনার শুরু।


চলতি মাসের পাঁচ তারিখ ইস্টার সান ডে। যিশু খ্রিষ্ট কি সত্যিই আসছেন তবে!

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।