ঢাকা: জমজ বোন বলে কথা, মিল তো থাকবেই! একই রকম চেহারা, চুল আর বাহ্যিক গড়ন। আর পোশাকের মিল তো রয়েছেই।
এবারের গল্প তিন জমজ সহোদরার, যারা চেহারা আর বাহ্যিক গড়নকে ছাপিয়েও মানসিক চিন্তা ও অনুভূতি দিয়ে একই সঙ্গে প্রবেশ করেছে জীবনের নতুন অধ্যায়ে। হুম, জন্মদিনের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের দিনটিও তাদের এক।
রাফেলা, রশেল আর তাজিনা বিনি তিন জমজ বোন। তিনজনই পা রেখেছেন ঊনত্রিশের কোঠায়। সম্প্রতি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা। তাদের বিয়ের আসরটাও যেন ছিল এক খেলাঘর আর স্বপ্নের মতো।
তিন বোন বিয়েতে ছিলেন একই সাজপোশাকে। অর্থাৎ একই ডিজাইন ও রঙের পোশাক পরেছিলেন তারা। চুল বাঁধা থেকে শুরু করে দাঁড়ানোর ভঙ্গি, সবই ছিল এক।
তাদের তিন জীবনসঙ্গী রাফায়েল, গ্যাব্রিয়েল ও এদুয়ার্দো প্রথমবার দেখে একটু থমকেই গিয়েছিলেন। ঠিক কোনটা তাদের আসল বধূ ভাবাই দায় হয়ে পড়েছিল! তবে তিন কনের হাতের ফুলের তোড়াটাই ছিল রক্ষা। ভিন্ন রঙের ফুলের তোড়া দেখেই তিন বর খুঁজে নেন নিজ নিজ বধূকে।
তিনকন্যার একইসঙ্গে একই দিনে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন তাদের বাবা-মা পেদ্রো ও সালিত। বাবা পেদ্রো একই সঙ্গে তিন কন্যাকে বিয়ের মঞ্চে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
তাদের এক সঙ্গে মঞ্চে ঢোকার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা করে দিতে দক্ষিণ ব্রাজিলের রিও গ্রান্ডে দো সুল প্রদেশের পৌরপ্রতিষ্ঠান প্যাসো ফান্দোর ‘নোসা সেনহোরা অ্যাপারেসিদা’ ক্যাথলিক গির্জার অতিথি আসনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিন কনের জন্য ছিল ছয়জন করে মোট আঠারোজন সহচরী। নববধূদের পরিবেশনের জন্য তিনটি আলাদা রঙ নির্বাচন করা হয়। রাফেলার জন্য হলুদ, রশেলের জন্য নীল ও তাজিনার জন্য লাল। প্রত্যেক কনের হাতেই ছিল তার জন্য নির্ধারিত রঙের ফুলের তোড়া।
বোনদের মধ্যে তাজিনা সবার বড় হওয়ায় তার বিয়ের মন্ত্রপাঠ আগে করা হয়।
তাজিনা জানান, বিয়ের সময় আমি আমার আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। সেসময় আমার অনুভূতি যে কেমন ছিল, তা বলে বোঝানোর মতো নয়।
ছেলেবেলা থেকেই তাদের আত্মার বন্ধন খুব দৃঢ়। তাদের শখ ও অভিমত সবই প্রায় একইরকম, গলা মেলালেন তিন বোনই।
এদিকে তিন কন্যার মা-বাবার ভাষ্য, তাদের একমাত্র সন্তান ছিল লেজিলা। যখন তারা পরিবার বাড়ানোর কথা ভাবলেন, তখন একই সঙ্গে তিন জমজ কন্যা পৃথিবীতে এলো। যা তারা ভাবতেই পারেননি!
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
এসএস