ঢাকা: মেকওভার বা মেকআপ বলতে শুধু সৌন্দর্যের পরিবর্ধনকেই বোঝায় না। বরং পুরোনোকে ভেঙে নতুন কিছু গড়ে তোলার প্রয়াসকেও বোঝায়।
আধুনিক প্রযুক্তি হলো এমন একটি সেতুবন্ধন যা মানুষকে বর্তমান, অতীত এমনকি ভবিষ্যতের সঙ্গেও সংযুক্ত করে। হিকারু চো নতুন প্রযুক্তির এ ভাবনাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছেন বহুদূর।
এজন্য বছর বাইশের এ মেকআপ আর্টিস্টের বডি পেইন্টিংয়ের বর্তমান বিষয়বস্তু আধুনিক প্রযুক্তি।
আধুনিক যুগে মানুষ হয়ে পড়েছে অনেকটাই যান্ত্রিক। যন্ত্রের মতো চলছে তার জীবন। কখনও সে হয়ে পড়ছে ক্লান্ত বা বর্ণহীন। যন্ত্রের সঙ্গে তুলনামূলক এসব অধি-বাস্তব বডি পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি মানুষের ভাবনার জগতকেও করে তুলেছেন আরও যুগোপযোগী ও বিকশিত।
শুধুমাত্র অ্যাক্রেলিক রং ব্যবহার করে বডি পেইন্টিংয়ে এনেছেন ত্রি-মাত্রিক নান্দনিকতা। যা পেয়েছে সুদূরপ্রসারী কল্পনাতীত রূপ।
তার নতুন ছয়টি ফেইস পেইন্টিংয়ের থিমগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ওয়্যারলেস চার্জিং’।
যেখানে মডেলের গলার পুরো অংশে কালো রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, যেন তার মাথা শূন্যে ভাসছে।
আবার কোনো পেইন্টিংয়ে দেখানো হয়েছে, মুখের একাংশ নড়াচড়ার ফলে নিচের দিকে নেমে গেছে। একবার নিজের আইফোনের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই ছবিগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন।
নিজের অসাধারণ শিল্পকর্ম সম্পর্কে হিকারুর ভাষ্য, আমি এসব পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করেছি, প্রযুক্তি সত্যিই আধুনিক জীবনের অখণ্ড এক বিষয়।
আয়ারল্যাণ্ড ও যুক্তরাজ্যে স্যামসাং আইটি অ্যান্ড মোবাইলের বিপণন পরিচালক ইনেস ভ্যান গ্যানিপ জানান, এগুলো সত্যিই অসামান্য সুন্দর কাজ।
পরবর্তীতে গ্যানিপ হিকারুকে এসব ডিজাইনের জন্য নিজ কোম্পানির টিমভুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
এসএস