ঢাকা: গল্পটি বিশোর্ধ্ব দুই তরুণ বন্ধুর। তারা কানাডার টরেন্টোতে এক রহস্যময় সুড়ঙ্গ তৈরি করেছেন।
এ প্রশ্ন উঠলে পুলিশ নিজেই সামাজিক গণমাধ্যমকে সাক্ষ্য দিয়েছে, এর পেছনে এ দুই তরুণের কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য নেই। খুব সরল মনে নির্বিঘ্নে সময় কাটাতেই তারা এটি বানিয়েছেন।
দেখতে অনেকটা অনেকটা মানব গুহার মতো। হয়তো নাগরিক কোলাহলে ক্লান্ত হয়ে খানিকটা সময় নিজেদের মতো করে উদযাপনের লক্ষ্যেই তাদের এ পদক্ষেপ।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কানাডার রেক্সাল সেন্টার থেকে ২৫ মিটার দূরে ঘন বন এলাকায় একটি গুপ্ত সুড়ঙ্গের খোঁজ মেলে। সেখানকার বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা এটি খুঁজে পান।
এ বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল ভিক্টর কং জানান, একান্তে সময় কাটাতে এ দুই তরুণ টরেন্টোর প্যান এম গেমস ভেন্যুর কাছাকাছি ভূগর্ভস্থ টানেলটি তৈরি করেন। এর পেছনে তাদের কোনো অসৎ চিন্তা ছিল না।
ফলে এটি শাস্তিমূলক কোনো কাজ নয়, তাই তাদের কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে না। সুড়ঙ্গের ভেতরে ব্রেভারেজ কন্টেইনার, জেনারেটর ও ইঞ্জিনের পাম্প পাওয়া যায়।
চেম্বারটি ছয় ফুট উঁচু, তিন ফুট প্রশস্ত ও প্রায় ৩৩ ফুট দীর্ঘ। যেহেতু এটি অপরাধ তদন্ত নয়, তাই পুলিশ তাদের নাম ও যাবতীয় বর্ণনা প্রকাশ্যে আনার খুব একটা প্রয়োজন মনে করছে না।
দুই তরুণের একজনের নাম ম্যাকডোনাল্ড। ২২ বছর বয়সী ম্যাকডোনাল্ড জানান, আমি শুধু মানুষকে এটুকু জানাতে চাই, এর পেছনে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য নেই।
টানেল খননের ক্ষেত্রে সেই এলাকার অন্য প্রতিষ্ঠান প্যান এম গেমস বা ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন ভিক্টর কং।
সম্প্রতি এ ব্যাপারটি নিয়ে গণমাধ্যম আলোড়িত হলে কং জানান, যেহেতু এটি তারা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য থেকে তৈরি করেছেন, সেহেতু এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
দুই তরুণ আনন্দযাপনে এই টানেল নির্মাণ করলেও, বিশ্বে বিভিন্ন সময়ে নানা কাজে, যানবাহন পরিচালনা ও যুদ্ধের সময় টানেল নির্মাণ হয়েছে। এজন্য শব্দটি এত রহস্যময় শোনায়। সামরিক সুবিধা আদায়ের জন্য ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তর ও দক্ষিণ কেরিয়ার মাঝে চারটি সুড়ঙ্গপথ সুড়ঙ্গ তৈরি করে উত্তর কোরিয়া।
আবার ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সকে সংযুক্ত করতে ১৯৯৪ সালে ফ্রান্সে চ্যানেল টানেল নামে ২০ মাইল দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথ তৈরি করা হয়।
২০০৯ সালে চীনে নির্মাণ করা হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেল টানেল। কুইলিয়ান পর্বতের মধ্য দিয়ে ৩৬০৭.৪ মিটার উচ্চতায় এ টানেল দিয়ে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে জাপানের টোকিও বে অ্যাকুয়া-লাইন, সুইজারল্যান্ডের গোথার্ড বেস টানেল ইত্যাদি।
**ভিডিও
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এসএস