ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

গল্পে ভরা প্রকৃতি

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৫
গল্পে ভরা প্রকৃতি

ঢাকা: ছবি সময়কে ধরে রাখে। সুন্দর মুহূর্তগুলো আমরা বন্দি করে রাখি ক্যামেরার ফ্রেমে।

দিনের শেষে স্মৃতি হাতড়ে বেড়াই পুরোনো অ্যালবামে। ছবি হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা অতীতের সঙ্গে বর্তমানের একটা বন্ধন তৈরি করে। পুরনো ছবিতেই আমরা খুঁজে পাই হারানো স্মৃতিমুখর দিনগুলো।

সুন্দর মুহূর্ত শুধু ক্যামেরায় ধরে রাখা হয় তা কিন্তু নয়। হঠাৎ করে প্রকৃতি তার অসাধারণ রূপ দিয়ে চমকে দেয় আমাদের। সেসব দৃশ্যে বিমোহিত হয়ে আমরা ছবি তুলে রাখি বিচিত্র প্রকৃতি ও তার বাসিন্দাদের।

বরাবরের মতো এবারও আয়োজন জীবজগতের অসাধারণ সব মুহূর্তের ছবি নিয়ে। তবে দেরি কেন, চলুন দেখে নিই সেসব ছবি।

মাছরাঙাটি নিজেও বোধহয় জানে না, সে কতটা সুন্দর! মনকাড়া কমলা রঙের ঠোঁট, সর্বাঙ্গ হলুদ পালকে আবৃত। চকচকে কমলা রাঙা আঙুলের কী ভঙ্গিমা! গভীর ঘন কালো চোখে এখনও বুঝি ধরা পড়েনি কোনো মাছ। তাই হয়তো টিকিটিকি দিয়েই উদরপূর্তির কথা ভাবছে নীলচে ডানার অপরূপ এ পাখিটি।

একই বনে বসবাস। বলতে গেলে প্রতিবেশীই তো! জাত ভিন্ন তাতে কী! সৌজন্যবোধে মানুষের চাইতে প্রাণীরাও পিছিয়ে নেই। আকারে বড় হলেই যে শক্তি দেখিয়ে তার উপর অধিকার খাটাতে হবে এমন মনোভাব কিন্তু হাতির মনে বিন্দুমাত্র নেই। তার প্রমাণ এই ছবিটি। দলে আর শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও তারা অপেক্ষায় রয়েছে। সাদাকালো ডোরাকাটা জেব্রার দল পানি খাওয়ার পরই আনন্দস্নানে নামবে তারা।


মেঘলা বিকেল। হলদে ফুলের বাগানে বন্ধুর অপেক্ষা করছিল মিনি বিড়াল। নাহ্, বন্ধু বুঝি আকাশে মেঘ দেখে দেখে আর বের হয়নি। তাই বুঝি হাঁসের দুই ছানাকে সঙ্গ দিচ্ছে বাঘের মাসী।


ধবধবে সাদা ইঁদুর দম্পতির বাড়িতে মাঝরাতে কে দিল হানা! ওমা, এ যে বিড়াল মামা! বিড়াল আমাদের মামা হলেও ইঁদুরের কাছে ভিলেনই বটে। কী করবে ইঁদুর দম্পতি? ছুটে পালাবে নাকি কৌশলে ফের বোকা বানাবে জেরির মতো।


বরফের দেশ এন্টার্কটিকায় রয়েছে অতি ভদ্র প্রাণী পেঙ্গুইনের বসতি। কখনওবা দলবেঁধে ভ্রমণে বের হয়, আবার কখনও দু’হাত মেলে নামে নীল বরফশীতল জলে। তবে ছবিতে পেঙ্গুইন দম্পতি মেতেছে পরিবারের নতুন সদস্যের দুষ্টুমিতে।  


একলা বিকেলে বন্ধু নেই তো কী হয়েছে! এটা ভেবেই হয়তো একাই খেলতে নেমেছে বাদামী কুকুরছানা। আহা! সবুজ ঘাসের উপর চতুর্দোলায় চড়ার মজাই আলাদা।


ছবিটি দেখেই নিশ্চয়ই সবার মনে পড়ে গেছে ‘লাইফ অব পাই’ সিনেমার কথা! তবে কথা হচ্ছে, ডোরাকাটা বাঘমামা নীল সমুদ্রে কী করছে? তিনি কি সমুদ্রস্নানে গিয়েছিলেন? নাকি গভীর সমুদ্রের রাজা-মহারাজাদের সঙ্গে ছিল কোনো বৈঠক!


চার বন্ধু। তিনটি বিড়াল, একটি কুকুর। সারাদিনের ক্লান্তিতে অন্য বন্ধুরা যখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন তখন বাদামী বিড়ালটি আদরমাখা চুমু এঁকে দিল প্রিয় কুকুরটির কপালে।


বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খাওয়ার বিষয়টা সবাই মেনে নিতে পারলেও, বিড়াল আর ইঁদুর এক পাত্রে দুধ খাবে এ দৃশ্য নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন! আর চিরশত্রু ইঁদুর জেরিকে বিড়াল টম তার প্রিয় খাবারের ভাগ দেবেইবা কেন! তবে ছবিতে তারা কী সুন্দর একই খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। এই না হলে সমঝোতা আর মধুর সম্পর্ক!


ইস্! অনেকখানি পথ হাঁটার পর বুঝি ছোট্ট কচ্ছপছানাটি মনের মতো খাবার পেল। তাই দেরি না করেই কামড় বসিয়ে দিল লাল টুকটুকে স্ট্রবেরিতে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।