ঢাকা: ঝুম বৃষ্টিতে মানুষ হোক বা প্রাণী সবারই চাই মাথা ঢাকার ঠাঁই! পথে তো আর বাড়ি ঘর নিয়ে ঘোরা যায় না। তাই ভরসা ছাতা।
অবিরাম বৃষ্টিতে মানুষের মতো ছোট ছোট প্রাণীরাও ব্যবহার করে ছাতা। শুধু ছাতা বললে ভুল হবে। বলা যায় বাহারি ছাতা!
মানুষের মতো হয়তো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে তারা ছাতা ব্যবহার করে না। তবে সময়, কাল, পরিবেশ ও স্থানভেদে প্রাণীরা ব্যবহার করে বাহারি সব ছাতা। আর প্রাণীদের এসব বাহারি ছাতার যোগান দিচ্ছে গোটা প্রকৃতিই। তবে দেরি কেন? চলুন দেখে নিই প্রকৃতির সংসারের ক্ষুদে বাসিন্দাদের বাহারি ছাতাগুলো!
বিন্দু বিন্দু জলরাশিতে পড়েছে কালচে মেঘের ছায়া। যেন কিছুক্ষণ আগেই থেমেছে বর্ষার তুমুল ঝড়। আর সোনালি শামুকটা ড্যানডালায়ন (Dandelion) ফুলের সাদা পাপড়ির ছাতা ধরে সঙ্গীর পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
দিনের শেষভাগে ঝুম বৃষ্টির কবলে পড়লো গেছো ব্যাঙ দম্পতি। তাড়াহুড়ো করে আশ্রয় নিলো সবুজরঙা পাতার নিচে। এক ছাতা নিয়েই দু’জনের মধ্যে লেগে গেলো কাড়াকাড়ি!
সবুজ ঘাসের কার্পেটে দাঁড়িয়ে শামুককন্যার অপেক্ষমান সন্ধ্যা। হলদে ছাতা হাতে শামুক কুমার কি পারবে শামুককন্যার অভিমান ভাঙাতে! ওহ, তাদের দু’জনের ছাতা-ই কিন্তু মাশরুমের।
এবার বুঝি ব্যাঙের লাগলো সর্দি! তাই বুঝি সে আশ্রয় নিলো কচুপাতার ছাতার নিচে।
বৃষ্টি থেমে দিগন্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিঠে রোদ। আর এই সুযোগে শামুককন্যা পাতার ভেলায় চড়ে বেড়িয়ে পড়েছে। কে জানে ফের বৃষ্টি হতেও পারে। তাই বুঝি ড্যানডালায়ন ফুলের ছাতাটি নিতে ভোলেনি সে।
এই ঝড়-বৃষ্টিতে কি আর মনের সুখে উড়ে বেড়ানো যায়? তাইতো এই পাখিটি ঠাঁই নিলো গাছে বেড়ে ওঠা পলিপোর (Polypore) ফাঙ্গাসের নিচে।
শুঁয়োপোকার স্বচ্ছ লোম ছুঁয়ে গেছে বৃষ্টির ফোঁটা। মনে হচ্ছে যেন স্বচ্ছ বরফে তৈরি সে! মাশরুমের ছাতা জড়িয়ে অপেক্ষা করছে বৃষ্টি থামার।
ব্যাঙের ছাতার নিচে ব্যাঙ নেই। সেই সুযোগে বাদামি শামুকটি দখল করলো ব্যাঙের ছাতা!
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা জলে ঘাসফড়িং মেতে উঠলেও মোটেও ভিজতে রাজি নয় শিংওয়ালা শামুকটি।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে কমলা-কালো ফুটফুটে পোকাটির শুভ্র এই ছাতাটিই রক্ষা। বর্ষায় ড্যানডালায়নের ছোট্ট পাপড়িই যেন তার ভরসা।
ছবি: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
এএ