ঢাকা: আমাদের দেশে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশোর্ধ্ব অনেকেই ভোগেন বাতের ব্যথায়। রোগটি বেশিরভাগ সময় বংশগত কারণে হলেও মূলত হাড়ের জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হলে বাতের ব্যথা হয়।
আগেই বলা হয়েছে, বাতের ব্যথার মূল কারণ অস্থিসন্ধিতে জমা ইউরিক অ্যাসিড। এছাড়া ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের অভাবেও এই রোগ হতে পারে। বাতের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত ব্যায়াম ও ওষুধের পাশাপাশি ব্যথার উপযোগী সুষম খাবার গ্রহণ করাও জরুরি। আর্থ্রাইটিস বা বাত নিরাময়ে কি কি খাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক:
মাছ
রুই, টুনা ও স্যালমন মাছে রয়েছে প্রদাহনাশক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতের ব্যথা সারাতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ৮৫ থেকে ১১৩ গ্রাম মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
সয়াবিন
সয়াবিনেও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রদাহ নাশ করে। এছাড়াও সয়াবিনে রয়েছে লো-ফ্যাট, উচ্চমানের প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় ফাইবার।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই ও পনির ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ব্রোকোলি
উচ্চমানের ভিটামিন সমৃদ্ধ ব্রোকোলিতে রয়েছে সালফোরেফেন নামে একটি উপাদান যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। এর মধ্যকার ক্যালিসিয়াম সুস্থ হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে।
গ্রিন টি
পলিফেনল ও এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন-টি প্রদাহ কমায় ও তরুণাস্থির ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনে। গ্রিন-টির মধ্যকার এন্টি-অক্সিডেন্ট রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে হাড়কে সুরক্ষা দেয়।
সাইট্রাস ফ্রুট
কমলা, লেবু ও আঙুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। গবেষণায় দেখা গেছে অস্টিওআথ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি যারা নিয়মিত এসব ফল খেয়েছেন তাদের জ্বালাপোড়া ও হাড়ের ক্ষতি নির্মূল হয়েছে অনেকটাই।
শিমের বিচি
ফাইবার সমৃদ্ধ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন, লোহা, জিংক ও পটাশিয়াম। বাতের কারণে ফোলাভাব কমাতে শিমের বিচি ভালো কাজ করে।
বাদাম
আখরোট, পেস্তা ও আমন্ড বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন ই ও ফাইবার। অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাত-পা ও মেরুদণ্ড, হাঁটু, ঘাড়, কোমর, হিপ ও কাঁধের জয়েন্ট ব্যথা) এবং রিউম্যাটয়েড (হাত-পায়ের ছোট জয়েন্টগুলোয় ব্যথা হয় ও জয়েন্ট ফুলে যায় ) আর্থ্রাইটিস উভয়ের জন্যই এসব বাদাম বেশ উপকারী।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৫
এএ