ঢাকা: মাছটি আকারে খুব যে বড় তা কিন্তু নয়। তবে মাছটি জল ছাড়াও শুষ্কস্থানে চরে বেড়াতে পারে, চড়তে পারে গাছে।
ক্লাইম্বিং পার্চ নামের স্বতন্ত্র ও ব্যতিক্রম এ মাছটি কয়েক দিন এমনকি সপ্তাহ পর্যন্ত জলবিহীন মাটিতে থাকতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তারা কাদামাটি খুঁড়ে গর্ত বানাতেও ওস্তাদ।
যদি অন্য কোনো মাছ বা পাখি ভুলক্রমে তাদের গিলে ফেলে তাহলে আর রক্ষা নেই। সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাইম্বিং পার্চ নিজেদের ফুলকা দিয়ে আকড়ে ধরে সেই পাখি বা মাছের গলা।
অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ও মৎস্য বিভাগ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ক্লাইম্বিং পার্চ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ মাছ তাদের বুকের পাখনায় ভর করে মাটির ওপর দিয়ে চলাফেরা করে। তাদের নাম অনুযায়ী গবেষকদের ধারণা এরা গাছে চড়তেও পারে। স্বাদু পানির মাছ হলেও লোনা পানিতে দিনযাপনে তাদের কোনো অসুবিধাই হয় না।
অতঃপর এই বর্ণনা শুনে কারও বুঝতে বাকি নেই যে এরা ঘাতক বা হিংস্র মাছ। আর এটাই চিন্তার বিষয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এই প্রজাতির মাছেরা ইতোমধ্যে টর প্রণালী পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। কুইন্সল্যান্ডের দু’টি দ্বীপের জলপথেও এদের আধিক্য দেখা গেছে।
জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ডক্টর নাথান ওয়েলদাম জানান, সম্ভবত এই মাছের আগমন পাপুয়া নিউগিনি থেকে। যা কিনা এখানকার স্থানীয় প্রাণিকুলের জন্য বিপদজনক হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এই প্রজাতির মাছ যখন কোনো প্রাণীর গলা নিজেদের ধারালো ফুলকা দিয়ে ধরে তখন সেই প্রাণীটি মারা যায়।
এই মাছটি কুইন্সল্যান্ডের বইগু ও সাইবাই দ্বীপে পাওয়া গেছে। আর এই দু’টি দ্বীপই পাপুয়া নিউগিনির কাছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই গবেষকদের ধারণা মাছটি সেই অঞ্চল থেকেই এসেছে।
অন্যদিকে কৃষি ও মৎস্য বিভাগের আশঙ্কা, যদি এখনই তাদের সুব্যবস্থা করা না হয় তাহলে টর প্রাণালীর মধ্য দিয়ে এসে এসব মাছ উত্তর অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবে।
ফ্যাকাসে বাদামি-কমলা ও গাঢ় সবুজ-বাদামি রঙের হিংস্র এ মাছের দৈর্ঘ্য প্রায় চার ইঞ্চি থেকে নয় সেন্টিমিটার। এরা সর্বোচ্চ ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এএ