ঢাকা: বৃষ্টি এলেই পথেঘাটে দেখা মেলে নানারকম ব্যাঙের। কোলাব্যাঙ, সোনাব্যাঙ, গেছোব্যাঙসহ আরও কতো নাম না জানা ব্যাঙ রয়েছে।
ব্যাঙ বলতেই চোখে ভাসে দু’পায়ে ভর করা স্যাঁতস্যাতে কাদামাখা এক প্রাণী। যার কাজ শুধু ঘ্যাঙোরঘ্যাঙ করে পাড়া মাতানো। কিন্তু বন্ধুরা, পৃথিবীতে রয়েছে নানান প্রজাতির ব্যাঙ, যারা দেখতে তো ভিন্ন বটেই, তার উপর তাদের বসবাসের স্থান এবং চালচলনও আলাদা।
সম্প্রতি ছবি সংরক্ষণের সাইট ‘ইমগুর’-এ প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েক প্রজাতির ব্যাঙের ছবি। সেখান থেকে সেরা ছয়টি ব্যাঙ নিয়ে এবারের আয়োজন।
কিউবান ট্রি ফ্রগ
তার নামই ট্রি ফ্রগ। তো বুঝতেই পারছেন, গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানোই তার কাজ। উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় এ গেছো ব্যাঙের বসবাস পশ্চিম গোলার্ধের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। কিন্তু গেছো ব্যাঙ যে গিলে ফেলেছে ইলেকট্রিক লাইট! এবার কী হবে!
ব্ল্যাক রেইন ফ্রগ
এই ব্যাঙটির সঙ্গে কি পরিচয় রয়েছে আপনার? অদ্ভুত কালো এ ব্যাঙটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্থায়ী বাসিন্দাই বলা চলে। নাতিশীতোষ্ণ বন ও লতাপাতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে এরা। বিরল প্রজাতির এ ব্ল্যাক রেইন ফ্রগ অাজ বিলুপ্তির পথে।
ক্যামোফ্লেজড্ টোডস
পাতা আর ব্যাঙ মিলেমিশে একাকার। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে, কোনো পাতা বা পাথরের টুকরো। ক্যামোফ্লেজড্ অর্থাৎ ছদ্মবেশী এ ব্যাঙের দেখা মিলবে দক্ষিণ আমেরিকার প্লাবিত বনাঞ্চলে ও নদীর তলদেশের কাদার ভেতর।
মসি ফ্রগ
সারা শরীর জুড়ে সবুজ শৈবাল। আর তাই বুঝি এ ব্যাঙটির নাম মসি ফ্রগ বা শৈবালময় ব্যাঙ। এরা ভিয়েতনামী বা টনকিন বাগ-আইড ফ্রগ নামেও পরিচিত। এদের বসবাস উত্তর ভিয়েতনাম ও চীনে।
ইন্ডিয়ান বুলফ্রগ
নীল ও উজ্জ্বল হলুদ রঙের এ ব্যাঙটি এশিয়ান বুলফ্রগ নামেও পরিচিত। বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙের মধ্যে এ প্রজাতির ব্যাঙ সংখ্যায় অনেক। এদের বসবাস মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও নেপালে। এরা নীল-হলুদ ছাড়াও বাদামী, সবুজ-কালো রঙের হয়ে থাকে।
ফ্লাইং ফ্রগ
ব্যাঙ জলে, ডাঙায় আর গাছে তো থাকেই, আবার উড়তেও পারে। আর উড়ন্ত এ ব্যাঙের নাম ফ্লাইং ফ্রগ বা গ্লাইডিং ফ্রগ। এ যাবত পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যাঙের মধ্যে এরাই স্বতন্ত্র প্রজাতির। উড়ন্ত এ ব্যাঙের বসবাস বরাবরই গাছে ও মাটি থেকে উপরে। চার ইঞ্চি লম্বা এ ব্যাঙ এক লাফে উড়ে যেতে পারে ৫০ ফুট। পোকামাকড়ভোজী ফ্লাইং ফ্রগের বিচরণ মালয় পেনিনসুলা থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৫
এসএস