ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

অ্যানিমেল লাভার হলে আপনিও হয়ত এভাবেই ভাবেন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
অ্যানিমেল লাভার হলে আপনিও হয়ত এভাবেই ভাবেন ছবি: সংগৃহীত

আপনি কি একজন অ্যানিমেল লাভার? অ্যানিমেল লাভারদের কাছে পৃথিবীর সব প্রাণীই সমান। ছোট, বড়, দুষ্টু বা মিষ্টি—সব প্রাণীই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো মুভিতে কুকুর বা পোষা প্রাণীর মৃত্যুদৃশ্যেও আপনার চোখ ছলছল করে ওঠে। বোঝা যাচ্ছে আপনি সত্যিই প্রাণী ভালোবাসেন।

তবে আপনি একাই নন, এমন আরো অনেক অ্যানিমেল লাভার রয়েছে সারাবিশ্বে। এদের একেবারে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য এবং মনোভাবও রয়েছে। এক ঝলকে দেখে নিন—

মানুষের চেয়ে অন্য প্রাণীই বেশি প্রিয়
বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা প্রাণীরা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি অনুগত, দয়ালু, কৃতজ্ঞ ও বিশ্বাসী। হয়ত প্রাণীরা মুখে বা ইশারায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না, তবে তাদের ভঙ্গিমা বুঝিয়ে দেয় অ‍াপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতা। কখনো কখনো এ ভালোবাসা থাকে জীবনের শেষ অব্দি।



ভয়ঙ্কর, ক্ষতিকর তাতে কী!
কিছু কিছু প্রাণী বা কীটপতঙ্গ—যেমন মাকড়শার কথাই বলি, অনেকের কাছেই এটি অস্বস্তিকর ও ভয়ঙ্কর। কিন্তু তবুও কোনো সত্যিকারের অ্যানিমেল লাভার শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর বা ক্ষতিকারক জন্য কোনো প্রাণী বা কীটকে কখনোই হত্যা করে না। এমনকি যদি আট পায়ের এ প্রাণী আপনার অনুমতি ছাড়াই নির্দ্বিধায় আপনার বাড়িতে ঘর বেঁধে বসে, তবুও একজন প্রাণীপ্রেমী হিসেবে তাকে কষ্ট না দিয়ে কী করে নিরাপদে বাড়ির বাইরে স্থানান্তর করা যায়—তাই আপনি ভাববেন।



ওরা থাকুক নিরাপদে
একজন প্রাণীপ্রেমী সবসময় প্রাণীদের সাহায্যে ও জীবন রক্ষার্থে এগিয়ে আসে। তা হোক লাল কাঠবিড়ালী রক্ষার্থে অর্থ জোগান বা থাইল্যান্ডে পর্যটকদের হাতির পিঠে চড়ে ভ্রমণ করা থেকে বিরত রাখতে এগিয়ে আসা।



ছবিতেও চাই!
কাজের ডেস্ক, ঘরের দেয়াল, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে শুধু পোষা প্রাণীর ছবি। সঙ্গে কিছু কোলাজও। শত শত সেলফিও রয়েছে সেসব প্রাণীদের সঙ্গে। আপনি শুধু চান এমন একটি ছবি যে ছবিটি বলে দেবে আপনার পোষা প্রাণী আপনাকে কত ভালোবাসে!



কারাগার নয় চিড়িয়াখানা হোক স্বর্গ
চিড়িয়াখানা হওয়া উচিত প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র, দর্শনার্থীদের বিনোদনমূলক প্রাণী কারাগার নয়। যেখানে প্রাণীরা নিরাপদে নিজেদের মতো করে বাঁচতে পারবে। বিশেষ করে বিরল প্রজাতির প্রাণীরা অবাধে বিচরণ ও বংশবৃদ্ধি করতে পারবে। যেটা হবে তাদের জন্য স্বর্গের মতোই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। সম্ভবত আপনিও এমন করেই ভাবেন।



ঘরে থাকার সময়টাই আপনার সবচেয়ে প্রিয়
বেশিরভাগ মানুষের কাছেই লাঞ্চ ও ঘরে কাটানো সময়টা প্রিয়। কিন্তু প্রাণীপ্রেমীদের কাছে সেটা আরো একধাপ এগিয়ে। ঘরে যতক্ষণ থাকেন ততক্ষণই উপভোগ করেন। কারণ তখন সঙ্গ দেয় তার প্রিয় পোষা প্রাণীটি। তবে আপনি যদি আপনার মিষ্টি প্রাণীটিকে খুব বেশি মিস করেন তাহলে ঘরে ওয়েবক্যাম লাগিয়ে নিতে পারেন। যাতে সারাদিন ধরেই তাকে দেখতে পান।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসএমএন/টিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।