মনে আছে ডলি নামের ক্লোন ভেড়ার কথা? স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে জন্ম দিয়েছিলেন ডলি নামের এক মাদি ভেড়াকে। আর তা ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে বড় এক মাইলফলক।
দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি চীন এবার বিভিন্ন প্রাণির ক্লোনিংয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। তবে তা খুব বড় আকারে। তারা এজন্য শুরু করতে যাচ্ছে এক বিশাল ক্লোনিং কার্যক্রম। সেজন্য তারা রীতিমতো তৈরি করতে যাচ্ছে সুবিশাল এক ‘ক্লোনিং ফ্যাক্টরি’। এই ফ্যাক্টরিতে ক্লোনিং প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম দেওয়া হবে কোটি কোটি প্রাণি ---কুকুর, বেড়াল, গরু-মহিষ, ঘোড়া-বানর-কুমীর কিছুই বাদ যাবে না। ক্লোন করা এসব প্রাণি শতকোটি চীনার মাংসের চাহিদা যেমন মেটাবে, তেমনি এগুলো বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায়ও চীনকে এগিয়ে দেবে অনেক দূর। এ ব্যাপারে পত্রিকার শিরোনাম: ‘China Plans Giant Animal Cloning Factory.’
এই কাজে ব্যয় হবে কোটি কোটি ডলার। আপাতত প্রথম ‘ক্লোনিং ফ্যাক্টরি’টি স্থাপিত হবে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় তানজিন বন্দরের কাছে। একাজে সহায়তা করবে চীনের বায়ো টেকনোলজি ফার্ম বয়ালাইফ (Boyalife) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সোয়াম বায়োটেক (Sooam Biotech)। এতে থাকবে বেশ কয়েকটি বড় আকারের ক্লোনিং ল্যাবরেটরি এবং একটা জিন ব্যাংক।
চীনের কৃষকরা যে মাংস, বিশেষ করে যে গো-মাংস উৎপাদন করে থাকে, তাতে শত কোটি চীনার মাংস চাহিদা মেটে না। তাই নেওয়া হয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ। ক্লোনিং ফ্যাক্টরির পশু উৎপাদনের মাধ্যমে মাংস চাহিদার পুরোটাই পূরণ হবে বলে আশা করছে চীন। ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া প্রাণিগুলো বাজারে বিক্রি করা হবে। দেখা যাক, কতোটা কী করতে পারে চীন!
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫
জেএম