এগিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের পিছিয়ে থাকা কারিগর সম্প্রদায়ের মেয়েরা। বাল্যবিয়েকে ‘না’ বলে এখন তারাও যাচ্ছে স্কুলে।
সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ২০টি ঘরে কারিগর সম্প্রদায়ের বসবাস। কাপড় তৈরি করে বিক্রি করাই তাদের প্রধান কাজ। কাপড় বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসারের যাবতীয় চাহিদা মেটানো হয়।
দীর্ঘদিন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের কন্যা সন্তানদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দিতো স্বামীর ঘরে। ফলে যে বয়সে এখানকার মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তারা সন্তান লালনে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। এতে সম্প্রদায়টির নারীরা নানা ধরনের পুষ্টিহীনতায় ভুগতেন। সেইসঙ্গে তাদের শিশুরাও নানা অপুষ্টিজনিত ব্যাধি নিয়ে বড় হতো।
তবে, সেইসব আঁধার কেটে যাচ্ছে। এ সম্প্রদায়ের মানুষেরা শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে, তাদের মাঝে এসেছে মানসিক ইতিবাচক পরিবর্তন। এখন আর তারা তাদের কন্যা সন্তানদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয় না। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও স্কুলে পাঠাচ্ছে।
এ সম্প্রদায়ের মেয়েরা লেখাপড়া করতে পেরে দারুণ আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। তারা এখন অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন দেখছেন তাদের মা-বাবারাও, সন্তান পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে।
কারিগর সম্প্রদায়ের এই পরিবর্তনের গল্পের কারিগর হিসেবে এলাকার শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে মাঠ দিবসে সম্প্রদায়টির মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা দিয়ে আসছেন শিক্ষক-জনপ্রতিনিধিরা। তাদের সচেতনতামূলক নির্দেশনায়ই প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে বাল্যবিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
এইচএ/