শিশুদের খেলনার মতো নিরাপদ জিনিস আর কীইবা আছে। কিন্তু না, তেমন ভাবার দিন ফুরিয়েছে।
শুধু বারবি ডল নয়, ইন্টারনেট-কানেক্টেড যেকোনো খেলনাকেই সরকার দূর থেকে গোয়েন্দাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ খেলনাকে হ্যাক করে গোয়েন্দারা বিভিন্ন বাসাবাড়ির সব গোপন তথ্য ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সহজেই জেনে যাবে। বিলেতের হাউজ অব কমন্স কমিটিকে এই কথা জানিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ। একটি পত্রিকার খবরের শিরোনাম : ‘Wi-Fi Barbie doll 'could be used as spy weapon by the government'
সেখানে বলা হয়েছে: তাই বলা হয়েছে: ‘‘Internet-connected toys would be permitted targets under the proposed ‘Snooper’s Charter’, experts told a House of Commons committee... Spies could use draconian new powers to hack into children’s toys and snoop into suspect’s homes, MPs have been warned..’’
(খবরের লিংক: http://www.mirror.co.uk/news/weird-news/wi-fi-barbie-doll-could-6983855#rlabs=2%20rt$category%20p$10)
বারবি ডলের মতো ইন্টারনেট –সংশ্লিষ্ট যে কোনো খেলনাকে হ্যাক করার ক্ষমতা পেতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা দপ্তর থেকে ‘স্নুপারস চ্যাপ্টার’(‘Snooper’s Charter’)নামের একটা প্রস্তাবও জমা দেওয়া হয়েছে সেদেশের সরকারের কাছে। এটা যদি অনুমোদন পেয়ে যায় তাহলে খেলনা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো বাধ্য হবে তাদের খেলনার ভেতরে গোপন ডিজিট্যাল ডিভাইস পুরে দিতে। আর তাতে করে গোয়েন্দারা তাদের দপ্তরে বসেই ইচ্ছামতো যে কারোর বাড়িতে আড়ি পাততে পারবেন। আর জেনে নিতে পারবেন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর গোপনীয়তা। মানবাধিকার বলে তখন আর কীইবা থাকবে?
যাহোক, ব্রিটিশ জনগণ এটা মেনে নেবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়!
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএম