ঢাকা: বাড়ির বাইরে পা বাড়াতেই প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা মনিটর লিজার্ড দেখে এরিক হল্যান্ড প্রায় মূর্ছা যাচ্ছিলেন। দানব লেইস মনিটর লিজার্ডের মুখোমুখী হওয়ার পর ৮০ বছর বয়সী এরিক দৌড়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন।
প্রাক্তন সংরক্ষণকর্মী এরিক নিউ সাইথ ওয়েলসের থরগোনাতে থাকেন। তিনি এর আগে কখনও এতো বড় সরীসৃপের মুখোমুখী হননি।
তিনি জানান, মনিটর লিজার্ড না হয়ে যদি কোনো মঙ্গলগ্রহের প্রাণী হতো তাহলেও আমি এতোটা ভয় পেতাম না। আমার ভয় ছিলো, শীতল রক্তবহনকারী সরীসৃপটি আমাকে আঁচড়ে বা কামড়ে না দেয়!
এদের মুখে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে, জানান এরিক।
ঘরের ভেতরে বসে এরিক শুনছিলেন, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর প্রতিরূপ সরীসৃপটি বাড়ির খুব কাছ থেকেই ভয়ানক গর্জন করছে। এরিক ক্যামেরা হাতে বাইরে এসে ফের হতবাক হয়ে গেলেন।
দেখলেন, বাড়ির বাইরের দেয়াল বেয়ে লিজার্ডটি উঠছে। এটি বাগানে চলে যাওয়ার আগেই তিনি একটি ছবি তুলে নিলেন।
‘আমি এখানে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বসবাস করছি। কিন্তু এর আগে এতো বড় লিজার্ড আমি দেখিনি। এটি ছিলো বিশাল। ’
লেইস মনিটররা প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের এই লিজার্ডরা পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
এসএমএন/এসএস