ঢাকা: পৃথিবীর বহুরূপী প্রাণীর মধ্যে ক্যাটলফিশ একটি। শিকারিদের নজর থেকে বাঁচতে তারা পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে নিজেদের রং বদল করে।
রং পরিবর্তন ছাড়াও তারা নিজেদের বহিরাবরণে বৈদ্যুতিক আবহ তৈরি করে আত্মরক্ষা করে।
সমুদ্রের বড় বড় শিকারি প্রাণী, যেমন হাঙরের ঠোঁট অত্যন্ত সংবেদনশীল।
তারা নিজেদের ঠোঁটের মাধ্যমে মিনিটের মধ্যে প্রাণীর শরীরের বৈদ্যুতিক আবহ টের পায়। যেমন- মাছের ফুলকার সাহায্যে উৎপন্ন বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ নির্ণয় করতে পারে হাঙর।
এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতাকে ইলেক্ট্রোরিসিপশন বলে। এই সংবেদনশীলতা থাকায় তারা শিকারকে দেখতে না পেলেও শনাক্ত করতে পারে।
তবে সাধারণ ক্যাটলফিশ হাঙরের মতো সংবেদনশীল কোনো শিকারির সামনে পড়লেও নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তারা শ্বাস বন্ধ করে শরীরের তরল পদার্থ নির্গমণকারী স্থান পা দিয়ে ঢেকে ফেলে।
গবেষকরা জানান, ক্যাটলফিশের মিহি বিদ্যুতের ৮৯ শতাংশ আসে তাদের শরীরের শিফন টিউব ও ক্যাটলফিশের মাথা থেকে।
গবেষকরা জানান, যখন ক্যাটলফিশের গায়ের রং আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায় তখন তাদের শনাক্ত করা কঠিন।
জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির মেরিন বায়োলজিস্ট ডা. ক্রিস্টিন বেডোর বলেন, বায়ু চলাচল হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাটলফিশের বৈদ্যুতিক আবহের মাত্রা হ্রাস পায়।
বিগত গবেষণায় বেডোর দেখেছেন, সাধারণ ক্যাটলফিশেরা ১০ থেকে ৩০ মাইক্রোভোল্টের বায়োইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্ন করে। যা একটি ট্রিপল-এ ব্যাটারির চেয়ে ৭৫ হাজার বার কম পরিমাণ বিদ্যুতের সমান।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/এএ